জুমবাংলা ডেস্ক : প্রাণ নাশের ভয়ে থানায় জিডি করেছেন ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার ইবনে সাঈখ।এখন চরম আতঙ্কে দিন পার করছে তাঁর পরিবার।
জিডির বরাত দিয়ে জানা গিয়েছে,ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যার উন্নিত করণ প্রকল্পের ৮ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।সেই নির্মান কাজের দায়িত্বে আছে ঢাকার তাজিম এন্টারপ্রাইজ এন্ড ইউনিক কনস্ট্রাকশন কোম্পানী লিমিটেডে।
কিন্তু নির্মান কাজ শেষ না করেই তাজিম এন্টারপ্রাইজ এন্ড ইউনিক কনস্ট্রাকশন কোম্পানী লিমিটেডের কনট্রাকটর সাইফুল ইসলাম টিপু ওরফে টিপু সুলতান অগ্রীম এক কোটি টাকার বিল দাবি করেন।
তাঁর এমন দাবি মেনে নিতে নারাজ হন নির্বাহী প্রকৌশলী( ইবনে সাঈখ)।সেই সাথে জানিয়ে দেন প্রত্যায়ন পত্র ছাড়া বিল প্রদানের কোন নিয়ম নেই। তাই সে অগ্রিম বিল দিতে পারবেন না।
প্রকৌশলীর কথা শুনে চড়াও হয়ে উঠেন কনট্রাকটর টিপু সুলতান।এখানেই শেষ নয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেন।
এরপর কোন উপায় না পেয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারকে অবহিত করার পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন ইবনে সাঈখ।
থানায় জিডি করার পর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন টিপু সুলতান। ঢাকায় অবস্থানরত ইবনে সাঈখের পরিবার পরিজনদের ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।তার পর থেকেই চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন ইবনে সাঈখ ও তাঁর পরিবার।
তবে হত্যার হুমকির কথা অস্বীকার করে টিপু সুলতান জানিয়েছেন,ঘটনার দিন কথা কাটাকাটি হয়েছে, আমি তাকে হত্যার হুমকি দেয়নি।
জানা গিয়েছে, কনট্রাকটর টিপু সুলতান স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। তাঁর পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতার প্রভাব দেখান।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যার উন্নিত করণ প্রকল্পের ৮ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে কাজটি শেষ করার কথা ছিল। পরবর্তীতে সময় বৃদ্ধি করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর করা হয়েছে। শুরুতেই কাজের মান নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যায় ধরা হয় ৩৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি আরো ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রকল্প ব্যায় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।