আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের আসামে একটি থানায় তিন মুসলিম বোনকে ধরে নিয়ে বিবস্ত্র করে ভয়াবহ নি’র্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে তাদের মধ্যে অন্তসত্ত্বা এক বোনের গর্ভপাত হয়েছে। রাজ্যের দাররাং জেলায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনার পর অভিযুক্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জেলার সিপাঝর থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিন বোন জানান, তাদেরকে থানায় আটকে বিবস্ত্র করে নি’র্যাতন করা হয়েছে। তাদের একজন জানান, তিনি গর্ভবতী ছিলেন এবং নি’র্যাতনের কারণে তার গর্ভপাত হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটার পর একটি নিউজ চ্যানেলকে ওই তিন নারী সাক্ষাৎকার দেন। এরপর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
অভিযোগে তাদের এক বোন জানান, ‘গত ৯ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটির সাতগাঁও এলাকায় নিজ বাসা থেকে স্বামী এবং দুই বোনসহ তাদের পুলিশ সদস্যরা তুলে নিয়ে জেলার বুরহা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। এরপর সেখানে নিয়ে তাদেরকে নি’র্যাতন করেন দুই পুলিশ।
তবে পুলিশ দাবি করেছে, ওই নারীর ভাই প্রেম করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক নারীকে নিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় দারাং জেলায় একটি অপহরণ মামলা হলে অভিযুক্তের স্বজনদের তুলে আনে পুলিশ।
দারাং পুলিশ সুপার অমৃত ভূঁইয়ার কাছে পৃথক এক অভিযোগে তাদের এক বোন জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর তিনি, তার স্বামী ও দুই বোনকে বিবস্ত্র করে পেটান বুরহা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মাহেন্দ্র শর্মা এবং নারী কনস্টেবল বিনিতা বোরো। ব’ন্দুকের মুখে ফাঁড়ির ইনচার্জ মহেন্দ্র শর্মা তাদের নি’র্যাতন করেন। এমনকি গর্ভবতী হওয়ার কথা জানানোর পরও তাকে নি’র্যাতন থেকে রেহাই দেননি তিনি।
পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা নারীদের একজন গর্ভবতী কি-না সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। মেডিকেল রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে ঘটনাটি তদন্তে একজন জ্যেষ্ঠ ইন্সপেক্টর জেনারেলকে (আইজি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।