আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জ এলাকার কাছে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ নোঙর ফেলেছে। বিরোধপূর্ণ পানিসীমায় ১২ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় মার্কিন জাহাজ প্রবেশের ঘটনা এটি। খবর সিএনএন’র।
এর আগে দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় প্রবেশ করে ইউএসএস জন এস ম্যাককেইন নামক মার্কিন জাহাজটি।
মৎস্য সম্পদসহ খনিজ আহরণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। পুরো সমুদ্রপথকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। তবে আরও কয়েকটি দেশও ওই অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। দেশগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। তারা। চীনের দখলে থাকলেও প্যারাসেল এবং স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে আসছে ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন। স্কারবারা চর নামে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরের মালিকানা নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের বিরোধ বহুদিনের। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে মালিকানা দাবি না করলেও আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ হিসেবে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ধরে রাখতে চায় দেশটি। আর নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সে তৎপরতা আরও জোরালো করেছে।
নৌ পরিচালনার স্বাধীনতা নামক অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের ২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী জাহাজ ইউএসএস রাসেল প্রবেশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর সেভেনথ ফ্লিটের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জো কিলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ নৌ চলাচলের স্বাধীনতা অভিযানের লক্ষ্য হলো সাগরে নিজেদের অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাগরের বৈধ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং চীন, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ান আরোপিত বেআইনি প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ করা।’ এর ১২ দিন আগে প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করে ইউএসএস জন এস ম্যাককেইন জাহাজটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।