জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম হত্যাচেষ্টায় আটক ওয়াকার আহম্মেদ নান্নুর বড় ভাই ইফতেখার আহম্মেদ খান বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই সময় তার বাড়ি থেকে একটি চোরাই প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়েছে
ইফতেখার আহম্মেদ খান বাবু ওই উপজেলার খোদাতপুর কলোনীর সাহাব উদ্দিনের ছেলে। ছোট ভাইকে গ্রেফতারের ৯ দিনের মাথায় বড় ভাইকেও গ্রেফতার করা হলো।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে বাবুকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তিনি বাড়ির দরজা আটকে ফেসবুক লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতে শুরু করেন।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, গ্রেফতার বাবু নিজেকে প্রভাবশালী নেতা, সাংবাদিক, এমপির ঘনিষ্ট সহযোগীসহ বিভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করে ছোট ভাই ওয়াকার আহম্মেদ নান্নুকে দিয়ে কৌশলে বেআইনি কর্মকাণ্ড করাতেন। তার বিরুদ্ধে ঘোড়াঘাট থানার এসআই দুলু মিয়া মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাবুর বাড়িতে একটি চোরাই প্রাইভেটকার আছে এবং তিনি প্রাইভেটকার চোর চক্রের সদস্য- এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত ১০টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় তার বাড়ি থেকে একটি চোরাই প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। গাড়িটির মালিকানা সম্পর্কিত কোনো বৈধ কাগজর দেখাতে পারেননি বাবু। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে প্রাইভেটকারটি চোরাই বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, গ্রেফতার করতে গেলে বাবু বাড়ির বারান্দার দরজায় তালা দিয়ে ফেসবুক লাইভে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছিলেন। এর আগেও তিনি এমন অপরাধ করেছেন। ছোট ভাই নান্নু গ্রেফতার হবার পরই তিনি ফেসবুক লাইভে মিথ্যাচার করা শুরু করেন।
চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর ঘোড়াঘাটে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওয়াকার আহম্মেদ নান্নুকে আটক করে পিবিআই। ওই সময় এলাকায় বেশ সমালোচিত হন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।