আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়াবহ দাবানলের মধ্যে প্রচণ্ড গরম ও খরার কারণে চলতি মাসেই দেশের দক্ষিণাঞ্চলে থাকা ১০ হাজার উটকে গুলি করে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত পাঁচদিনে দেশটির কর্তৃপক্ষ ৫ হাজার উটকে গুলি করে হত্যা করেছে।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়ে এগুলোকে হত্যা করার কাজে সহায়তা করছে অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ ও পানি ডিপার্টমেন্ট। মঙ্গলবার পর্যন্ত হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ৫ হাজার উটকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় আদিবাসী নেতাদের দাবি, বন্য এই উট তাদের অপর্যাপ্ত খাবার ও পানির জন্য হুমকি।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দাবানলের মধ্যে জলের অভাব হওয়ায় মানুষের বাড়ি ঢুকে পড়ছিল উটের দল। শুধু জল খাওয়া নয়, বাড়ি-ঘর ও মানুষেরও ক্ষতি করছিল তারা। খাবার ও জলের অভাব দেখা দিয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এগজিকিউটিভ বোর্ডের সদস্য মারিতা বাকের জানিয়েছেন, এই উটের দৌরাত্ম্যে এলাকার অনেক সমস্যা হচ্ছে। মারিতা বলেন, “আমরা গরমের মধ্যে আটকে রয়েছি। বাড়ির বাইরে থাকা যাচ্ছে না। ভিতরেও কোনওরকমে এসি চালিয়ে থাকতে হচ্ছে। তারমধ্যে প্রতিদিন উটেরা এসে বেড়া ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকে এসির মধ্যে থেকে জল খাওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়াও যেখানে যেখানে খোলা জল রয়েছে সব খেয়ে যাচ্ছে।”
মারিতা বাকের আরও বলেন, “এই এলাকায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ মানুষের বাস। আমরা বুঝতে পারছি এই সিদ্ধান্তের ফলে বন্যপ্রাণী সংগঠনগুলি আমাদের বিরোধিতা করবে। কিন্তু বর্তমানে মানুষদের প্রাণ বাঁচানো আমাদের কাছে বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
এপিওয়াই কর্মকর্তারা জানান, তারা অভিযানে ৫ হাজারেরও বেশি উটকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বেশি বন্য উট রয়েছে বলে মনে করা হয়। দেশটির সরকারি হিসাবে বলা হয়, ১০ লাখেরও বেশি উট দেশটির মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ায়। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না নেয়া হলে প্রতি ৯ বছরে উটের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।