জুমবাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে গতকাল (৮ ডিসেম্বর) দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
সরকারের অন্যতম সর্বোচ্চ এ পদে যোগদানের পূর্বে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব, মহাপরিচালক ইত্যাদি পদে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইত্যাদি দপ্তরে কাজ করার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা তার রয়েছে।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া দীর্ঘদিন মাঠ প্রশাসনেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা, কুমিল্লা এবং পঞ্চগড়-এ তিনটি জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইত্যাদি পদেও তার কাজ করার বিস্তৃত ও বৈচিত্রময় অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। এর পর হতে তিনি তার দীর্ঘ কর্মজীবনে একদিকে যেমন সরকারের বিভিন্ন নীতি-কৌশল, পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে মূল্যবান অবদান রেখেছেন, তেমনিভাবে মাঠ পর্যায়ে দক্ষতার সাথে কাজ করার মধ্য দিয়ে সরকার কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত সফলভাবে বাস্তবায়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন। তার উপর ন্যস্ত সরকারি দায়িত্ব পালনে উলে¬খযোগ্য কৃতিত্ব প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে ‘লিডারশিপ’ বিষয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়েছেন। এ প্রশিক্ষণে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বিশেষ সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করে। ভূমি ব্যবস্থাপনা, সরকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সুশাসন, আইন ও প্রশাসন ইত্যাদি বিষয়েও তিনি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
শিক্ষাগত জীবনেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া, পরবর্তীতে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় হতে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভলপমেন্ট (ইসিডি) বিষয়ে দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।