চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হারেসুল ইসলাম বলেন, শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূকে ধ*র্ষণের একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শ্বশুরকে আটকের পর সোমবার তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুলাই দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বালাপাড়ায় মৃ*ত রহমতুল্লাহর ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম ছফু (৫০) তার পুত্রবধূকে ধ*র্ষণ করেন।
নি*র্যাতিত গৃহবধূ বলেন, তিন মাস আগে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমার শ্বশুর প্রায়ই আমার দিকে আড় চোখে তাকাতেন। অথচ আমি আমার শ্বশুরকে নিজের বাবার মতোই দেখাশোনা করতাম। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমার শ্বশুর আমার স্বামীকে নিকটস্থ সুইহারি বাজারে কাঁঠাল আনতে আর আমার দেবরকে পান-বিড়ি ও ও*ষুধ আনতে দোকানে পাঠান। ওই সময় আমি ঘর ঝাড়ু দিয়ে বাড়ির আবর্জনা বাইরে ফেলার জন্য প্রস্তুতি নেই। এমন সময় হঠাৎ আমার শ্বশুর পেছন থেকে এসে আমার মুখ চেপে ধরে তার শোয়ার ঘরে নিয়ে যান।
নি*র্যাতিতা বলেন, আমার শ্বশুর আমাকে জো*রপূর্বক তার ঘরে নিয়ে হাতে ছিটকিনি লাগিয়ে এবং মুখ চেপে ধরে ধ*র্ষণ করেন। এসময় আমি চিৎকার করতে চাইলে আমাকে তার বাড়িতে ঘর-সংসার করতে দেবে না বলে হুমকি দেন। গৃহবধূ বলেন, ধ*র্ষণ করার পর আমি বিষয়টি কাউকে জানালে আমার শ্বশুর আমাকে রাতের অন্ধকারে খু*ন করবে বলেও হুমকি দেন।
এজাহারে তিনি বলেন, আমি চিৎকার দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে প্রতিবেশী দুই নারী এগিয়ে আসেন। এসময় আমার শ্বশুর শফিকুল ঘর থেকে বের হয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। গৃহবধূ বলেন, ধ*র্ষণের ঘটনা আমার স্বামী ও চিরিরবন্দর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে জানালে তারা আমাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেদিনের পর থেকে আমার শ্বশুর পলাতক।
চিরিরবন্দর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু বলেন, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ওই নারীকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি। এরপর নিজ উদ্যোগে ধ*র্ষককে ধরে রোববার পুলিশের হাতে সোপর্দ করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।