জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের শার্শায় পুলিশের বিরুদ্ধে ধ’র্ষণের অভিযোগকারী নারী বলেছেন, ধর্ষণে এসআই খাইরুলও জড়িত তবে ভয়ে তখন নাম বলিনি। শুক্রবার সকালে উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের একথা বলেন নির্যাতিতা ওই নারী।
তিনি আরো বলেন, এসআই খাইরুলকে তিনি ভালোভাবেই চেনেন। কয়েকদফা এসআই খাইরুল তার বাড়িতে গিয়ে ৩ হাজার/৫ হাজার করে টাকা নিয়ে গেছেন। তিনিও ধর্ষণ করেছেন। এসআই খাইরুলকে সামনাসামনি করায় পুলিশের ভয়ে তিনি তার নাম বলেননি। তবে তিনি দাবি করেন, ডিএনএ টেস্ট করলেই বোঝা যাবে ধর্ষণে এসআই খাইরুল জড়িত ছিলেন কিনা।
নির্যাতিতা ওই নারী আরও বলেন, এসআই খাইরুলের সাথে যারা ছিল তারা এলাকার ভয়ঙ্কর লোক। ছাড়া পেলে তাদের আরও ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। তিনি এখন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
এদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ নির্যাতিত ওই নারীর বাড়িতে যান। এসময় তারা ওই নারীর খোঁজখবর নেন এবং আইনগত সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন।
পরে নারী ও শিশু অধিকার ফোরমের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ধ’র্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। সারাদেশে শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউ নিরাপদ নয়। ধর্ষণকাজে পুলিশও বাদ যাচ্ছে না। তিনি যশোরের এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং ঘটনায় জড়িতদের ফাঁ’সি দাবি করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।