জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকা শহরের অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ হ্রাস ও আবাসন সমস্যা দূর করতে একটি আধুনিক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ আদর্শ আবাসিক শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্পের উদ্যোক্তা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাস্তবায়ন করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সরকারি আবাসন প্রকল্প পূর্বাচল নতুন শহর। ২৫ হাজারের বেশি প্লটের এই প্রকল্প এলাকায় খুবই ধীরে উঠছে ঘরবাড়ি।
বিদ্যুতের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত থাকলেও পানির ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। এরই মধ্যে যারা বসবাস করছেন তারা নলকূপ বসিয়ে পানির ব্যবস্থা করছেন। জ্বালানী হিসেবে এলপি গ্যাস ব্যবহার করছেন। আপাতত বৈদ্যুতিক থাম্বার মাধ্যমে তার টেনে লাইন দেয়া হলেও ভবিষ্যতে মাটির নিচ দিয়ে তার টানা হবে।
আশপাশে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, বাজার-হাট গড়ে উঠছে। আর এরই মধ্যে ৩শ’ ফুটে নীলা মার্কেট গড়ে উঠেছে। অনেক মানুষ আশপাশ এলাকা থেকে বাজার করতে আসে এই মার্কেটে। সরেজমিনে পূর্বাচলে গিয়ে এ রকম চিত্র দেখা যায়।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও পূর্বাচল প্রকল্পের পরিচালক উজ্জ্বল মল্লিক বললেন, ছোটখাটো কিছু বিষয় ছাড়া বেশির ভাগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রকল্পে ১৬ লাখ মানুষের চাহিদা পূরণ করা যাবে। সে পরিমাণ পানি সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ডেলকট ওয়াটারকে। কিন্তু প্লট মালিকরা যদি দ্রুত বাড়ি নির্মাণ না করেন তাহলে পানির লাইন কোথায় দেয়া হবে।
পূর্বাচলে ‘শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম’ এর কাজ শুরু হয়েছে। স্টেডিয়াম নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নির্মাণ একটি মেগা প্রকল্প। বললেই হয়ে যাবে না। তবে কাজ অনেকটা এগিয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে গেছে। এখন আবার পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।
সূত্র জানায়, এলাকার ভেতরে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় করার কথা রাজউকের। দুটির ভবন হয়েছে। স্কুল পুরোপুরি চালু হয়নি।
প্রকল্প এলাকায় আগের ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। সেগুলোর জন্য প্রকল্পে জায়গা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু স্কুলগুলো সেক্টর ধরে স্থানান্তর হয়নি।
চারটি থানা করতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেডিয়ামের জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা স্থাপনা নির্মাণ করুন। তাহলেই পূর্বাচল শহর গড়ে উঠবে।
প্রকল্পে একটি সরকারি হাসপাতাল থাকার কথা। সেটির নির্মাণকাজ দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে। ৩০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে
হাসপাতাল করার জন্য জায়গা দেয়া হয়েছে। তারা কেউ সেখানে হাসপাতালের কাজ শুরু করেনি। বেশির ভাগই সয়েল টেষ্টের কাজ চলছে। প্রতি সেক্টরে একটা করে বাজার থাকার কথা। এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট বাজার তৈরি করা হয়নি। ‘ভ্যান বাজার’ই বেশি প্রচলন আছে।
প্রকল্পের শেষ অংশের ২/১ সেক্টরে স্যুয়ারেজ লাইন ও ফুটপাত নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্প শুরুর সময় তৈরি হওয়া কিছু রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। রাজউকের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এসব কাজ প্রকল্প মেয়াদেই শেষ হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।