ধূমপানের কারণে দেহের ওপর নানা ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। মূলত ধূমপানের ফলে দেহে প্রবেশ করা নিকোটিন ও অন্যান্য বিষের কারণে এমনটা হয়। ধূমপানের এ ক্ষতিকর প্রভাব দূর করতে হলে তা সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়ার বিকল্প নেই। তবে কিছু খাবার ও পানীয় এ বিষের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে পারে।
১. পানি
পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড পানীয় হচ্ছে পানি। নিকোটিনের দ্বারা শরীরের অভ্যন্তরের যে ক্ষতি হয় তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পানি। আপনি কি জানেন নিকোটিন আপনাকে পানিশূন্য করে? প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করলে শরীর রিহাইড্রেট হয় এবং মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত দ্রব্য কিছুটা হলেও বাহির হয়ে যায়।
২. কমলা
কমলা বলশালী সাইট্রাস ফল, নিকোটিন ভিটামিন সি হ্রাস করে এবং চাপ বৃদ্ধি করে। কমলা খেলে ভিটামিন সি এর স্তর পরিপূর্ণ হয় এবং স্ট্রেস ও উদ্বিগ্নতা কমে।
৩. পালংশাক
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ধূমপায়ীদের ফলিক এসিডের সাপ্লাই কম থাকে। এই এসিড মাংসপেশি, স্নায়ু এবং ব্রেইন হেলথ ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন। সৌভাগ্যক্রমে পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড থাকে। পালংশাক ভিটামিনে ভরপুর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে যা সার্বিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্য রক্ষা করে। আপনি হয়তো জানেননা যে, পালং শাক খেলে স্মোকিং এর স্বাদ নষ্ট হয়! যদি আপনি ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চান তাহলে পালং শাক খান।
৪. গাজর
ধূমপান ছাড়ার জন্য গাজর অনেক উপকারী। গাজরের জুস খেলে কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় বেশি। প্রতি দিন এক কাপ গাজরের জুস পান করলে আপনার শরীর ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে দিয়ে পরিপূর্ণ হবে। যা আপনার শরীর থেকে নিকোটিন বাহির করে দিতে সাহায্য করে।
৫. ব্রোকলি
ব্রোকলিতে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন বি৫ ও ভিটামিন সি থাকে। বি ভিটামিন শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রোকলি খেলে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় এবং ফুসফুস কে টক্সিন থেকে রক্ষা করে। ব্রোকলিতে NRF2 জীন থাকে যা ফুসফুসের কোষকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
৬. আদা, লেবু, ডালিম
এছাড়াও আদা, লেবু, ডালিম, কিউই ইত্যাদি খেলে নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়। মনে রাখবেন নিকোটিন ত্বকের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা খুব সহজ নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।