জুমবাংলা ডেস্ক: ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বঙ্গবাজার পাইকারি মার্কেট। ঈদ সামনে রেখে দোকানে নতুন পণ্য তোলা ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে এখন বুক ভরা আর্তনাদ করছেন। কী হবে এই সর্বহারা ব্যবসায়ীদের? কোথায় যাবেন তারা। কোথায় পুনর্বাসিত হবে তাদের ব্যবসায়?
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া মার্কেটটির স্থানে নতুন করে পাইকারি মার্কেটই নির্মাণ করা হবে।’
যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত নতুন ভবনে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র।
বুধবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় ‘গোড়ান খেলার মাঠ’ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবাজারে নতুন করে পাইকারি মার্কেটই নির্মাণ করা হবে। আমরা তাদেরকে নিয়ে বসব। তারা কীভাবে চায় (তা জানব)। প্রধানমন্ত্রীকেও আমরা ভবনের নকশাটি দেখাব। এটা পাইকারি বাজার। আমরা এটাকে পাইকারি মার্কেট হিসেবেই তৈরি করব এবং যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত, নতুন ভবনে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাদেরকেই আগে পুনর্বাসিত করা হবে।’
মেয়র বলেন, ‘আমাদের সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। মামলার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এখন বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। কিছুদিন সময় দিতে হবে। মানবিক দিক নির্ণয় করে তারা যাতে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তাদেরকে অনুদান দিয়ে আমরা সেটা নিশ্চিত করব। তারপর তারা যাতে সেখানে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আমরা নতুন একটি পরিকল্পনা নিয়ে তাদের সঙ্গে বসব। সেটা নিশ্চিত করার পরেই আমরা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করব।’
এই অগ্নিকাণ্ড কোনও ধরনের পরিকল্পিত নাশকতা কিনা — সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটি একটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তারপরেও, এটি কোথা থেকে শুরু হয়েছে এবং কীভাবে শুরু হয়েছে তা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।’
মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের অর্ধশত ইউনিট। সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত ইউনিটও কাজ করে। পরে নগরভবনে তাৎক্ষণিক সভা আয়োজন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সভায় বঙ্গবাজার মার্কেটটি ২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি বার বার বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এর আগে আমরা এমন কোনো নজির দেখিনি যে এত ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডটা হওয়ার পরপরই আমাদের সবসংস্থা একত্রিত সমন্বিতভাবে সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমেছে। যার ফলে মালামালের ক্ষতিও সীমিত করা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।