জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিয়ের তিন মাসের মাথায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার শাশুড়ি ও ননদকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আরো তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। শনিবার দুপুরে আটক দুইজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে শনিবার সকালে নিহতের স্বামী, শাশুড়ি, ননদসহ পাঁচজনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার দুইজন হলেন নিহতের শাশুড়ি চানন্দি ইউপির রহমতপুর গ্রামের মেস্তরি বাড়ি ওমান প্রবাসী বাহার মেস্তরির স্ত্রী মিনারা বেগম ও তার মেয়ে নিহতের ননদ সুমি আক্তর।
নিহত শাবনুর আক্তার উপজেলার হরণি ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বয়ারচর নবীনগর গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার চানন্দি ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নলেরচরের রহমতপুর গ্রামের বাহার মেস্তরির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তিন মাস আগে ওমান প্রবাসী বাহার মেস্তরির ছেলে ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুকের কিছু টাকা বাকী ছিল। বিয়ের পর থেকে ওই যৌতুকের টাকার জন্য ও ঘরের আসবাবপত্রের জন্য শাবনুরকে একাধিকবার মারধর করে স্বামী।
শুক্রবার সকালে মোরগকে খাদ্য দেয়া নিয়ে শাবনুরের সঙ্গে তার শাশুড়ি ও ননদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী, শাশুড়ি, ননদসহ শাবনুরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথে শাবনুর মারা যায়। পরে নিহতের স্বামী মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে প্রচার করে শাবনুর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের খালু আবুল কালাম ও তার খালা শাবনুরের শ্বশুর বাড়িতে গেলে নিহতের স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম, তার মেয়েকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, নববধূ নিহতের ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।