আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের জোরালো প্রতিবাদ সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার বলেছে, তারা আস্থাশীল যে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটোর অংশ হয়ে উঠবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে এই সম্প্রসারণ নাটকীয়ভাবে ইউরোপীয় নিরাপত্তাকে পুনর্গঠন করবে।
এটি বর্বর সংঘাতের প্রতিফলন যা ট্রান্সআটলান্টিক জোটকে পুনরুজ্জীবিত করেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর ইউক্রেন প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছে। ইউক্রেনের একজন বেসামরিক নাগরিককে ঠান্ডা মাথায় হত্যার জন্য ২১ বছর বয়সী রাশিয়ান এক সৈন্যকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দেশটির সীমান্ত সম্পসারণের মাধ্যমে ন্যাটোকে বিরক্তিকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে ইউক্রেন আগ্রাসনের মাধ্যমে ১২ সপ্তাহের যুদ্ধে হাজার হাজার লোক হত্যার পর কিয়েভ তার মাটিতে নৃশংসতার জন্য বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু করেছে।
কয়েক দশকের জোট নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত ত্যাগ করে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ব্রাসেলস-এ সদর দফতরে সামরিক ন্যাটো জোটে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে একটি যৌথ আবেদন জমা দিয়েছে।
নর্ডিক দেশগুলোর প্রতি জোরালো সমর্থন দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন তিনি তাদের ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্তিকে ‘দৃঢ়ভাবে’ সমর্থন করেন এবং আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন ‘আগ্রাসন’ এর ক্ষেত্রে মার্কিন সমর্থনের প্রস্তাব দেন।
ইউক্রেনের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ওয়াশিংটনের সংকল্পের স্মারক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে তার দূতাবাস তিন মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু করেছে।
ন্যাটোতে আবেদন প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এতো তাড়াতাড়ি তিনি এটি আশা করেননি, কিন্তু পুতিনের ভয়ংকর উচ্চাকাক্সক্ষা আমাদের মহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক রূপ বদলে দিয়েছে।
ন্যাটোয় যোগদান প্রক্রিয়া ন্যাটো সদস্য তুরস্কের কঠোর প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। তুরস্ক অভিযোগ করেছে, নর্ডিক প্রতিবেশী দেশগুলো তুর্কি বিরোধী চরমপন্থ’ীদের আশ্রয় দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার সরকারের উদ্বেগের প্রতি ন্যাটোর কাছে ‘সম্মান’ দেখনোর দাবি করেন। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।