জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরীতে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। পানির নীচে চলে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।দ্বিতীয় দফা বন্যায় পানি বাড়ছে গত ৩ দিন ধরে। একের পর এক গ্রাম চলে যাচ্ছে পানির নীচে। তলিয়ে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি। রাস্তা-ঘাটের ওপর দিয়ে অনেক উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
অবস্থার ভয়াবহতায় অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে। কেউ ঘরের ভেতরে চৌকির ওপরে চৌকি দিয়ে অথবা বাঁশের উঁচু মাচা তৈরি করে বসবাস করছেন। সময় যত যাচ্ছে ততই ফুরিয়ে আসছে তাদের শুকনো খাবারের মজুদ। অনেকের ঘরে চাউল, ডাল থাকলেও চারদিকের অথৈ পানিতে তাদের রান্নার সুযোগ নেই। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। তৃণভূমি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শুকনো খড় পানিতে ভিজে নষ্ট হওয়ায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। বন্যা যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে ততই বাড়ছে বানভাসিদের দুর্ভোগ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, চলতি এ বন্যায় উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৪৮টি গ্রাম সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ৫২৮ পরিবারের ৪৪ হাজার ৭৯৯ জন মানুষ। ইতিমধ্যে বানভাসিদের মাঝে ৬০ মে.টন চাউল, নগদ ৬ লক্ষ ৩০ হাজার, শিশু খাদ্যের জন্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার ও গো-খাদ্যের জন্য ৮০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্ধ পাওয়া গেছে ৩৬ মে.টন চাউল, ৮০ হাজার টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৪০ হাজার ও গো-খাদ্যের জন্য ৪০ হাজার টাকা। যা বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাছুম জানান, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে যাতে দ্রুত বন্যা দুর্গতদের বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া যায় এজন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নৌকা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।