স্পোর্টস ডেস্ক : নিজের পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে হত্যা করেছেন তুরস্কের ফুটবলার সিভহার তোকতাস। প্রথমে এই হত্যাকে করোনাভাইরাসে মৃত্যু বলে প্রচার করেন তিনি। তবে হত্যার ১১ দিন পর নিজেই স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে গিয়ে দায় স্বীকার করেন এই সাবেক ফুটবলার।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ডেইলি মেইল।
৩২ বছর বয়সী তোকতাস ছিলেন একজন ডিফেন্ডার। ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তুরস্কের লিগে খেলেছেন। তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমের শহর বুরসাতে থাকতেন তিনি।
গত ২৩ এপ্রিলে নিজের ছোট ছেলে কাসিমকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করেন তোকতাস। শ্বাস-প্রশ্বাসে প্রচণ্ড খারাপ অবস্থায় বুরসা শহরে এক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকদের বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের কাছে পরাজয় মেনেছে প্রাণপ্রিয় ছেলে কাসিম। চিকিৎসকরা দ্রুত তাকে আইসিউতে নেন। কিন্তু অল্পকিছুক্ষণের মধ্যে মারা যায় কাসিম।
কীভাবে মেরেছেন নিজেরে ছেলেক? উত্তরে তোকতাস বলেন, ‘ও ঘুমিয়েছিল হাঁ করে। বালিশ দিয়ে আমি ওর মুখ চেপে ধরি। প্রথমে একটু প্রতিরোধ করতে চাইলেও পরে আর পেরে ওঠেনি। ১৫ মিনিট ধরে ওর মুখে বালিশ চেপে রাখি। আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যায় ওর শরীর।’
সন্তানকে হত্যার কারণ বলতে গিয়ে এই ফুটবলার বলেন, ‘আমি ওকে কখনই চাইনি। কেন জানি ওকে সহ্যই করতে পারতাম না। জন্ম থেকেই ওকে ভালো লাগত না আমার। এটাই একমাত্র কারণ ও মারা যাওয়ার পেছনে। আমি ওকে পছন্দ করতাম না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।