জুমবাংলা ডেস্ক: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাজারে ভেজাল খাদ্য সরবরাহ বন্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠনে দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা’স ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের আওতায় “ন্যাশনাল ফুড সিস্টেম প্রাইরোটিস এন্ড প্রিপারেশন অন দ্য ঢাকা ফুড এজেন্ডা-২০৪১” শীর্ষক এক জাতীয় সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এতে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এনে ভ্যান লিউয়েন ও রবার্ট ডি সিম্পসন গেস্ট অব অনার হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে না পারলে তা সরবরাহ করা অসম্ভব। ভোক্তা যে পণ্যটি গ্রহণ করছে, সেটির গুণগত মান সম্পর্কে অসচেতন। এক্ষেত্রে ভোক্তার সচেতনতা অনেক জরুরি।
তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে এই প্রকল্পটি ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ের জন্য গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে। অনিরাপদ খাদ্য কৃষক, ব্যবসায়ী, ভোক্তা সকলের জন্যই ক্ষতিকর। তাই খাবার সময় আমাদের খাদ্যমান যাচাই-বাছাই করা উচিত।
তাজুল ইসলাম বলেন, স্ট্রীট ফুড চাইলেই বন্ধ করা যাবে না। তবে এগুলোকে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, খাদ্যের মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে, যা অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে। খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং ভেজাল রোধে এই ল্যাবটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও লোকবল আছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ, ভেজাল খাদ্য বন্ধ, সাধারণ মানুষকে খাদ্য-পুষ্টি বিষয়ে সচেতন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অধিকতর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় তিনি মানুষের কল্যাণ এবং সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থেকে সহযোগিতা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ খাদ্যের গুণগত মান নষ্ট করে এবং মানুষের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ বিষয়ে কৃষকদেরও আরও বেশি সচেতন করতে হবে। কীটনাশকের ব্যবহার সম্পর্কে অনেকে অবগত নন। উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্যের ব্যবস্থাপনা একটি জটিল বিষয়। সে জন্য প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরই গরমকালে দেশে ডায়রিয়ার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এব্যাপারে তাৎক্ষণিক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
অনিরাপদ পানি ডায়রিয়া রোগের একটি কারণ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সরকার সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে কাজ চলমান রেখেছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এডিসসহ অন্যান্য মশা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে সভা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এডিস মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশন কাছে প্রয়োজনীয় কীটনাশক, জনবল এবং যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রয়েছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।