জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলায় ৮ দিন আটকে রেখে নির্যাতনের ফলে দুলাল মালী (৫০) নামে মিষ্টির দোকানের এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুলাল মালীর বাবার নাম ঝন্টু মালী, বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বারের চর গ্রামে।
নিহতের স্ত্রী অঞ্জু রানী জানান, তার স্বামী দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ভোলার বিভিন্ন দোকানে মিষ্টির কারিগর হিসেবে কাজ করত। সে সুবাধে তারা গত ১২ বছর ধরে ভোলা শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের কালিখোলায় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
তিনি বলেন, দুলাল মালী ইতোপূর্বে ঘুইংগার হাট বাজারের আল মদিনা মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। মালিকের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় চলতি মাসের শুরুতে সেই চাকরি ছেড়ে ভোলার খেয়াঘাট এলাকায় অপর এক মিষ্টির দোকানে কাজ নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই আল মদিনার মালিক মো. কামাল হোসেন গত ৯ আগস্ট দুলাল মালীকে খেয়াঘাট থেকে ধরে নিয়ে নিজের আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে ও আটকে রাখে।
এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো খবর পায়নি। পরে গত ১৬ আগস্ট রাতে দোকানের এক কর্মচারীর সহযোগিতায় তার মোবাইল থেকে স্ত্রী অঞ্জু রানীকে ফোন করেন দুলাল মালী। বলেন তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। ওই রাতেই অঞ্জু রানী দৌলতখান থানার পুলিশের সহযোগিতায় স্বামীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।
অঞ্জু রানী বলেন, এ সময় তার স্বামীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন ছিল এবং সে খুবই অসুস্থ ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেননি। তাই বিনা চিকিৎসায় সোমবার দুলাল মালীর মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দোকান মালিক মো. কামাল পালিয়ে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে মো. আলাউদ্দিন নামে তার দোকানের এক কর্মচারী সাংবাদিকদের কাছে দুলালকে আটকে রেখে নির্যাতনের কথা স্বীকার করেন।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, পুলিশ গত কয়েকদিন আগে ওই দোকান কর্মচারীকে উদ্ধার করেছে। এ সময় সে অসুস্থ ছিল।
তিনি আরও জানান, ভোলা সদর হাসপতালে নিহতের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আসামিকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।