আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে চীন সরকারের নির্যাতনের সাক্ষ্য দিয়েছে উইঘুররা। শুক্রবার দেশটির স্বাধীন আদালতে মারধর, জোরপূর্বক গর্ভপাত এবং নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দেন ভুক্তভোগীরা।
চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশটি ১০ লাখেরও বেশি উইঘুর মুসলিমকে নির্বিচারে বন্দি রেখেছে। এছাড়া দেশটি নারীদের বন্ধ্যাকরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাধ্যতামূলক শ্রম আদায় এবং ধর্মীয়, বাক ও চলাচলের স্বাধীনতায়ও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যদিও চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, জিনজিয়াং প্রদেশের তিনজন উইঘুর তুরস্কে পালিয়ে যান। যুক্তরাজ্যের আদালতে তারা কর্তৃপক্ষের জোরপূর্বক গর্ভপাত এবং নিপীড়নের সাক্ষ্য দিয়েছেন। লন্ডনের আদালতে দেওয়া এই তিনজনের সাক্ষ্য-প্রমাণ, উইঘুরদের ওপর চীনের গণহত্যার তদন্তে ব্যবহৃত হবে।
সাক্ষী দেওয়া তিনজনের একজন নারী বলেন, তিনি যখন সাড়ে ছয়মাসের গর্ভবতী, কর্তৃপক্ষ তখন তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করে। আরেকজন পুরুষ বলেন, কারাগারে সেনারা তাকে দিনরাত নির্যাতন করেছে।
আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া ৫৫ বয়সী রোজি নামে আরেক উইঘুর নারী বলেন, ২০০৭ সালে কয়েকজন প্রেগন্যান্ট নারীর সঙ্গে তাকেও গ্রেফতার করা হয়। কর্তপক্ষ তাকে পঞ্চম সন্তান গর্ভপাতে বাধ্য করে। আদেশ পালন না করলে তার বাড়ি ক্রোক করে নেওয়া হতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাকে পিল খাইয়ে গর্ভপাত করানো হয় বলে বর্ণনা দেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের যে আদালতে নিপীড়িত উইঘুররা সাক্ষ্য দিয়েছেন সেটা ‘স্বাধীন আদালত।’ ব্রিটিশ সরকার এখানে কোনো রকম প্রভাব বিস্তার করছে না। শুক্রবার আদালতে শুনানি শুরু হয়েছে। ডজনের বেশি উইঘুর ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আয়োজকরা প্রত্যাশা করছেন, জনসম্মুখে দেওয়া নির্যাতনের প্রমাণ চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রয়োজন হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।