জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাহপুর বাজারে শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
রোববার রাত ৮টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- হাবিব, রনি, মনু, রায়হান, রাকিব। এর মধ্যে রাকিব রায়হানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি।
হাসপাতালে আহতরা জানান, রোববার সন্ধ্যার পর স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন তারা। রাত ৮টার দিকে শিবিরের কয়েকজন এসে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে স্থানীয়রা। এর মধ্যে শিবিরের কয়েকজন দোকানে ঢুকে ছাত্রলীগের কর্মীদের কুপিয়ে আহত করে। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয় আমান উল্যাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান জানান, জামায়াত নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের ভাই ফারুক হোসেন গত কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এ হামলার পরিকল্পনা করেস এবং তার নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আরমান হোসেন এই ঘটনায় শিবিরকর্মীদের দায়ী করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।