
ব্রিটিশ গণমাধ্যম জায়ান্ট বিবিসি আবারও বড় বিতর্কে জড়িয়েছে। সংবাদ পরিবেশনে ‘গুরুতর ও পদ্ধতিগত পক্ষপাতিত্ব’–এর অভিযোগের মুখে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেবোরাহ টারনেস পদত্যাগ করেছেন।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, গাজা সংঘাত ও ট্রান্সজেন্ডার অধিকার–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বিবিসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই ইস্যুগুলোতে সংবাদ পরিবেশনের ধরন নিয়ে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত সমালোচনার পরপরই দুই শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
বিবিসির এডিটোরিয়াল গাইডলাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস কমিটি (ইজিএসসি)–এর সাবেক উপদেষ্টা মাইকেল প্রেসকট প্রথম এই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন। পরে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফ বিবিসির একটি অভ্যন্তরীণ নথি প্রকাশ করে বিষয়টিকে আরও জটিল করে তোলে।
ওই নথিতে দেখা যায়, বিবিসির জনপ্রিয় তথ্যচিত্র সিরিজ প্যানোরামা-তে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভাষণ এমনভাবে সম্পাদনা করে প্রচার করা হয়েছিল, যাতে তাঁর বক্তব্য বিকৃত হয়ে ক্যাপিটল হিলে হামলার পক্ষে উস্কানিমূলক মনে হয়।
নিজের পদত্যাগবার্তায় টিম ডেভি বলেন, “আমাদের কিছু গুরুতর ভুল হয়েছে, আর মহাপরিচালক হিসেবে শেষ পর্যন্ত সেই দায় আমারই।”
বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরাহ টারনেসও দায়িত্ব স্বীকার করে বলেন, “এটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না, তবে চূড়ান্ত দায়ভার আমার ওপরই বর্তায়।”
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্স (সাবেক টুইটার)-এ বিবিসিকে ‘১০০% ভুয়া খবর’ ও ‘অপপ্রচারের যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত ‘Trump goes to war with ‘fake news’ BBC’ শিরোনামের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন।
দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, বিতর্কের পর বিবিসি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতার মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



