পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য ফাইবার জাতীয় খাদ্যের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। আবার ছোটবেলা থেকেই আমাদের শাকসবজি বা ফলমূল খাওয়ার প্রতি বেশ অনীহা রয়েছে। কিন্তু এ সকল খাদ্যে ফাইবারের পরিমাণ সব থেকে বেশি থাকে।
আপনি ফাইবারকে দুই ভাগে ভাগ করতে পারেন। প্রথমটি দ্রবণীয় ও দ্বিতীয়টি অদ্রবণীয়। ওটমিল, চিয়া বীজ, আপেল, কিছু কিছু বাদাম, ডাল ইত্যাদি খাদ্যকে বলা হয় দ্রবনীয় ফাইবার। রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ সকল খাবারের গুরুত্ব রয়েছে।
গম, শাকসবজি, ফলমূলের খোসা, কাঠবাদাম, আখরোট, বিভিন্ন ধরনের শস্যবীজ ইত্যাদি খাদ্যকে অদ্রবণীয় ফাইবার বলা হয়। ক্যালরিকে নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য এবং ক্ষুধা পাওয়ার অভ্যাস তৈরি করার ক্ষেত্রে অদ্রবণীয় ফাইবারের গুরুত্ব রয়েছে।
নারকেল, আপেল, মিষ্টি আলু, স্ট্রবেরি, কলা, ডার্ক চকলেট, পাস্তা, ঢেঁড়স, ব্রকলি, গাজর, করলা ইত্যাদি খাদ্যে দ্রবনীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবারের উপস্থিতি রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের নিয়ন্ত্রণে ফাইবারের গুরুত্ব রয়েছে। অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধে ফাইবার কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
আপনি যদি ওজন নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে ফাইবার জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করুন। ফাইবার গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত পানি পান করার অভ্যাস গ্রহণ করুন। আপনার যদি নিয়মিত ফাইবার জাতীয় খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস না থাকে তাহলে হঠাৎ করে একদিন অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাদ্য খাবেন না। এতে করে বদ হজমের মত সমস্যা তৈরি হতে পারে।
আপনার খাবারে মাঝেমধ্যে মাছ বা মাংসের বদলে শাকসবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। আস্তে আস্তে শাকসবজিকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করার নিয়মিত অভ্যাস তৈরি করুন। পুরুষ এবং নারীর ক্ষেত্রে দৈনিক যথাক্রমে ৩০ গ্রাম এবং ২৫ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করার প্রয়োজন রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।