স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপে অসাধারণ খেলছেন লিওনেল মেসি। ২০১৪ বিশ্বকাপে খুব কাছে গিয়েও ছুঁতে পারেননি বিশ্বকাপের শিরোপাটা। সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপে আর হাতছাড়া করতে চান না লা পুলগা খ্যাত আলবিসেলেস্তেদের এই অধিনায়ক।
কোয়ার্টার ফাইনালে গোল ও অ্যাসিস্ট করা মেসি সেমিফাইনালের আগে দাঁড়িয়ে আছেন দারুণ এক মাইলফলকের সামনে। একটি গোল করলেই ছাড়িয়ে যাবেন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার পক্ষে সর্বোচ্চ গোল করা গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে। রেকর্ডের মালিকও উত্তরসূরিকে বলছেন, পরের ম্যাচেই গোল করে তাকে ছাড়িয়ে যেতে।
আর মাত্র দুটি ধাপ পেরুতে পারলেই ৩৬ বছরের অধরা বিশ্বকাপটা জয় করে ফেলবে আর্জেন্টিনা। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে গতবারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়াকে। এই ম্যাচে জয় পেলেই ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ফ্রান্স কিংবা মরক্কোকে।
সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা আর্জেন্টিনার সেমিফাইনালে ওঠায় সবচেয়ে বড় অবদান লিওনেল মেসিরই। আর্জেন্টিনার প্রতিটি জয়ে কোনো না কোনো অবদান রেখেছেন সাত বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম গোলটি নাহুয়েল মলিনা করেছিলেন মেসিরই অসাধারণ এক পাস থেকে। পরে দলের দ্বিতীয় গোলটি মেসি নিজেই করেন পেনাল্টি থেকে পাওয়া স্পটকিকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ডাচরা সমতায় ফিরলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট পায় আর্জেন্টিনা।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে স্পটকিক থেকে করা গোলটি বিশ্বকাপে মেসির দশম গোল। এই গোলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলেন কিংবদন্তি গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে। ১০ গোল নিয়ে তিনিই এতদিন ছিলেন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করা আর্জেন্টাইন। এবার মেসি তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়।
রেকর্ড ছোঁয়ার পর মেসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাতিগোল নামে খ্যাত এই স্ট্রাইকার। চাইছেন, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচেই মেসি গোল করে তাকে ছাড়িয়ে যাক। মেসি গোল পেলে যে বেড়ে যাবে আর্জেন্টিনার জয়ের সম্ভাবনা।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রেকর্ড ছোঁয়া গোলের পরপরই মেসির সঙ্গে নিজের পুরনো একটি ছবি টুইট করে লিখেন, ‘প্রিয় লিও, তোমাকে অভিনন্দন। আমি রেকর্ডটি ২০ বছর ধরে রেখেছি এবং উপভোগ করেছি। এখন রেকর্ডটি তোমার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারাটা আমার জন্য বিরাট সম্মান ও আনন্দের।’
বাতিস্তুতা যোগ করেন, ‘আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে চাইছি, তুমি আমাকে পরের ম্যাচেই ছাড়িয়ে যাবে!’
১৯৯৪ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন বাতিস্তুতা। মোট ৪ গোল করেন তিনি। সেবার গ্রিসের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ৫ গোল করেন বাতিগোল। সেবারও জ্যামেইকার বিপক্ষে ম্যাচে পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের দেখা। ইতিহাসের মাত্র চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে দুটি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন তিনি। ২০০২ সালে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে মাত্র ১ গোল করেন তিনি।
অন্যদিকে ২০০৬ বিশ্বকাপে প্রথম গোল করা মেসি ২০১০ বিশ্বকাপে পাননি গোলের দেখা। ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার পথে করেন ৪ গোল। পরের আসরে ১ গোল করা মেসি কাতারে এবারের আসরে এখন পর্যন্ত করেছেন ৪ গোল।
মেসির কথাবার্তা ‘ভীষণ’ অপমানজনক ছিল, বিস্ফোরক মন্তব্য নেদারল্যান্ডস ফুটবলারের
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।