ইসরায়েল যদি পশ্চিম তীরকে পুরোপুরি দখল বা অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে নতুন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই হুঁশিয়ারি এসেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক ঘোষণার পর।
১৯৬৭ সাল থেকে দখল করা পশ্চিম তীর আংশিকভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকলেও ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে গড়ে তোলা ১৪০টিরও বেশি বসতি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত।
ইইউ বিভিন্ন পদক্ষেপ বিবেচনা করছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো দখলকৃত বসতি থেকে আসা পণ্যের রপ্তানির ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ। এক জ্যেষ্ঠ ইউরোপীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ইসরায়েলের পদক্ষেপ যদি কঠোর হয়, আমরাও কঠোর সাড়া দেব। নরম হলে, নরমভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে।”
এই হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর বক্তব্যের পর এসেছে। ২১ সেপ্টেম্বর তিনি স্পষ্ট করে ঘোষণা করেছেন, কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠিত হবে না। একই সঙ্গে, চরম-ডানপন্থি মন্ত্রীরা পশ্চিম তীরকে সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত করার দাবিও তুলছেন। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ বলেছেন, এটি হবে ইসরায়েলবিরোধী পদক্ষেপের একমাত্র জবাব এবং তিনি পশ্চিম তীরে সার্বভৌমত্ব ঘোষণারও আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে নিউইয়র্কে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।