জুমবাংলা ডেস্ক : শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ন’টা আটচল্লিশ মিনিট। ঝক ঝকাঝক ঝক আওয়াজ থেমে গেল। রংপুর এক্সপ্রেস তখন বামনডাঙ্গা স্টেশনের এক নম্বর লাইনে। জ্যাকেট পড়া হ্যাংলা-পাতলা গড়নের এক যুবক স্যুয়েটার পড়া আরেক যুবকের হাত ধরে তুলে দিলেন ট্রেনের বগিতে।
জ্যাকেট পড়া যুবকটা হ্যান্ডশেক করলেন ট্রেনের অ্যাটেন্ডেসের সাথে। এরপর ফিসফাঁস করে কিছু বলে নেমে গেলেন। স্যুয়েটার পড়া লোকটাকে দেখিয়ে জোরে বললেন, ভাই গরিব মানুষ। দেখে শুনে নিয়ে যান। এরইমধ্যে ট্রেনের হুইশেল। আবারো নিজস্ব ঢংয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু।
স্যুয়েটার পড়া যাত্রীর নাম রুহুল আমিন। বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কাশিম বাজারে। ঢাকা হয়ে ফেনি যাবেন। বামনডাঙ্গা স্টেশনে টিকেট পাননি। হ্যাংলা-পাতলা ওই যুবক টিকেট দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে টাকা নেন পাঁচশ। রুহুলকে ঢাকা পৌঁছানোর দায়িত্ব দিয়ে ট্রেনের অ্যাটেন্ডেসের হাতে ধরিয়ে দেন চারশ টাকা।
রুহুল বলছে, পাঁচ মিনিটের মধ্যে লোকটা হামাক (আমাকে) বেচি (বিক্রি) করে দিলো ভাই। টিকেট দিবার (দিতে) চায়া (চেয়ে) টাকা নিলো। টিকেট দিলো না। এখন হামার (আমার) কি হবে টিকেট ছাড়া কমলাপুর পার হমো (হবো) ক্যামন (কেমন) করে। এই দালালের পাল্লাত যেন কেউ পড়ে না ভাই। সূত্র : সময় নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।