কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশের প্রতি অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতির ভিত্তিতে দুই দেশ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন এবং বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধু ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। উভয় পক্ষই পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমান আচরণ এবং উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার একটি চমৎকার উদাহরণ স্থাপন করেছে।
শি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশ তাদের রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা ক্রমাগত সুসংহত করেছে। উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে। দুই দেশের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরও গভীর হয়েছে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে শি জানান, তিনি কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীকে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা আরও গভীর করার, দুই দেশের জনগণের জন্য আরও বেশি সুবিধা প্রদান এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে বৃহত্তর অবদান রাখার সুযোগ হিসেবে গ্রহণের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত।
এদিকে, পৃথক বার্তায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং স্থায়ী সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে একটি গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অভিন্ন সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে চীনের দীর্ঘমেয়াদী ও মূল্যবান সহায়তার জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
তিনি আস্থা প্রকাশ করেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও ফলপ্রসূ ফলাফল বয়ে আনবে।
অপরদিকে, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং বাংলাদেশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও একে অপরকে অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন।
লি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে আমরা অত্যন্ত মূল্য দেই। ৫০তম বার্ষিকীকে উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার এবং চীন-বাংলাদেশ ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হিসেবে গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন।
ড. ইউনূস বলেন, গত ৫০ বছরে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ফলপ্রসূ ফলাফল এনে দিয়েছে, যা সত্যিই উদযাপনের যোগ্য।
তিনি আরও বলেন, ধারাবাহিক ও বৃহত্তর ফলাফল অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।