ভয়াবহ পানি সংকট, অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ এবং ভূমিধসের হুমকির কারণে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান রাজধানী তেহরান স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি আর বিকল্প নয়, বরং এখন বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পেজেশকিয়ান বৃহস্পতিবার হরমোজগান প্রদেশ সফরে বলেন, “তেহরান, কারাজ ও কাজভিনসহ আশপাশের অঞ্চলে পানি সংকট চরমে পৌঁছেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সমস্যা চললেও কার্যকর সমাধান হয়নি।” তিনি জানান, রাজধানী স্থানান্তরের প্রস্তাব গত বছর সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে উঠেছিল, তবে তখন সমালোচনা হয়েছিল।
বর্তমানে তেহরানে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করছেন, যা ইরানের মোট পানির প্রায় এক-চতুর্থাংশ ব্যবহার করে। সাধারণত পানি আসে ৭০% বাঁধ এবং ৩০% ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে। কিন্তু বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বাঁধ দ্রুত অক্ষম হয়ে পড়ছে। ২০২৪ সালে দেশে বৃষ্টিপাত ছিল মাত্র ১৪০ মিলিমিটার, যেখানে স্বাভাবিক মান ২৬০ মিলিমিটার। চলতি বছর এটি ১০০ মিলিমিটারের নিচে নেমে গেছে। ফলে ভূগর্ভস্থ কূপ শুকিয়ে যাচ্ছে এবং অন্য অঞ্চল থেকে পানি আনার খরচ প্রতি ঘনমিটার প্রায় ৪ ইউরোতে পৌঁছেছে।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, “অযথা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হলে শেষ পর্যন্ত ধ্বংস ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।” তিনি জানান, তেহরানের কিছু এলাকায় বছরে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভূমিধস হচ্ছে।
নতুন রাজধানী পরিকল্পনা করছেন পেজেশকিয়ান। তাঁর মতে, দক্ষিণাঞ্চলের পারস্য উপসাগর তীরবর্তী এলাকায় নতুন রাজধানী হলে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসবে। এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলবে। এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্টরা এই পরিকল্পনা করেছিলেন, তবে বাস্তবায়িত হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।