জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনায় আমিরুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আতাইকান্দা বুনে পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমিরুল সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের মুন্তাই হোসেনের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
ভাড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা দাবি করেছেন, তিনি (আমিরুল) আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পদ্মা নদীর বালু তোলা নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় জনগণ ও পুলিশের ধারণা।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আমিরুল রোববার রাতে বাড়ি থেকে বের হলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ধরে খুব কাছ থেকে পর পর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বালু ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে একাধিক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত আমিরুল এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত চরমপন্থী নেতা ‘নিস্তার’ এর ঘনিষ্ঠজন বলে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম জানান, হত্যাকারীরা চলে যাওয়ার সময় সর্বহারার স্লোগান দিয়ে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভাঁড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সুলতান মাহমুদ বলেন, আমিরুল দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তিনি একজন নিরীহ মানুষ ছিলেন। তার এক ছেলেসন্তান রয়েছে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে এ পর্যন্ত (রাত সাড়ে ১১টা) পুলিশ রয়েছে। হত্যার কারণ ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।