জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর ভাটারা কুড়িলে চৌরাস্তায় মাদকাসক্ত স্বামীর ছুরিকাঘাতে কানিজ ফাতেমা টুম্পা (২৫) নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী সাফখাত হাসান রবিন পলাতক।
টুম্পার স্বজনরা জানান, তার বাড়ি বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্য কাটাদিয়া গ্রামে। বাবার নাম শাহ আলম। ৪ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। পরিবার নিয়ে থাকতেন কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার ৭৯/২-এ নম্বর বাসায়। উত্তরার শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির বিবিএ ফাইনাল ইয়ারে পড়তেন তিনি।
টুম্পার ছোট বোন আয়শা আক্তার রুকাইয়া জানান, রবিনের সঙ্গে ৯ বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল টুম্পার। ২ মাস আগেই তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। রবিনও কুড়িল চৌরাস্তা এলাকাই থাকে। রবিন কোনো কাজ করতেন না, বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই রবিন টুম্পার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিয়ের ১৫ দিন পর টুম্পা রবিনকে তালাকের উকিল নোটিশ পাঠান।
এরপর রবিন আবার তার সঙ্গে মীমাংসার চেষ্টা করেন। এরপরও বুধবার জোর করে টুম্পাকে রবিন ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মারধর করেন এবং রুমের ভেতর বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে মা-বাবা তাকে আনতে গেলেও ছাড়েননি রবিন।
টুম্পার খালা নাজমা বেগম জানান, তিনি বাড্ডায় থাকেন। বৃহস্পতিবার তিনিই আবার টুম্পাকে আনতে যান। রাত ৯টার দিকে তাকে নিয়ে পায়ে হেঁটে বাবার বাসায় ফিরছিলেন। তখন চৌরাস্তার মুচরেই পেছন থেকে রবিন টুম্পার পিঠে ছুরিকাঘাত করেন।
পরে টুম্পাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ৯টায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, ঘটনার সময় রাস্তার লোকজন রবিনকে আটক করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি পালিয়ে গেছেন বলে শুনেছেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া টুম্পার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।