রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তার দেশ যে কোনো হুমকির মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। পশ্চিমের ধ্বংসাত্মক নীতির মধ্যেও মস্কো কূটনৈতিক পথ ধরে উত্তেজনা কমাতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের আগে পুতিন সতর্ক করেছেন, “ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির আরও অবনতি অত্যন্ত বিপজ্জনক।” তিনি বলেন, রাশিয়া ইতিমধ্যেই সমস্যার সমাধানে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু তা স্পষ্ট সাড়া পায়নি।
পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন, “রাশিয়া যে কোনো বিদ্যমান বা নতুন হুমকির প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম। শুধু কথা নয়, সামরিক-প্রযুক্তিগত ব্যবহারের মাধ্যমে এর জবাব দেবে রাশিয়া।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ইউরোপ ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা মোকাবিলায় রাশিয়ার একপক্ষীয় ক্ষেপণাস্ত্র স্থগিতাদেশ শেষ করা হয়েছিল।
তবে পুতিন বলেন, রাশিয়া যুদ্ধবাজি বা উত্তেজনা বাড়াতে আগ্রহী নয়। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের ন্যাশনাল ডিটারেন্ট বাহিনীর কার্যকারিতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী, তবে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে বা অস্ত্র প্রতিযোগিতা চালাতে আগ্রহী নই।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাশিয়া সবসময় আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় রাখতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পদ্ধতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যা সমতা, নিরাপত্তার অখণ্ডতা এবং পারস্পরিক স্বার্থের সম্মানের ভিত্তিতে।
মেধাবীদের ভিসা ফি লাগবে না, নতুন নিয়মের কথা ভাবছে যুক্তরাজ্য
পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, মস্কো ২০১০ সালের নিউ স্টার্ট চুক্তি দীর্ঘায়িত করতে প্রস্তুত, যা আগামী ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হবে। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিটি দেশ সর্বাধিক ১,৫৫০টি স্থাপিত কৌশলগত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৭০০টি ডেলিভারি সিস্টেম রাখতে পারবে। পুতিনের মতে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফলপ্রসূ কৌশলগত সংলাপ গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।