জুমবাংলা ডেস্ক: পুলিশের কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েই চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন রাকিবুল হাসান শান্ত (২৩) নামে এক যুবক। আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের সিটি প্লাজায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিনি আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। আটক শান্ত যশোর শহরতলী পালবাড়ি গাজীরঘাট এলাকার শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে। তাকে আইডি কার্ড তৈরিতে সহায়তা করায় মামুন হোসেন জনি নামে আরেকজনকে আটক করা হয়েছে। মামুন হোসেন জনি শহরের নতুন খয়েরতলার মোশাররফ হোসেনের ছেলে।
কোতয়ালী থানা পুলিশের এসআই ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রকিবুল হাসান শান্ত নামে ওই যুবক সিটি প্লাজার এসএস ফ্যাশনে গিয়ে নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন। এ সময় তিনি দোকান কর্মচারী সাইফুল ইসলামের কাছে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। কর্মচারীকে তিনি একথা বলেন যে, মায়ের চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ৫ লাখ টাকা যোগাড় হয়েছে। এ জন্য বাকি ৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করছেন। কিন্তু কর্মচারী সাইফুল ইসলাম দাবিকৃত ৫ হাজার টাকা দিতে অস্বীকার করলে রকিকুল হাসান শান্ত দোকানের কাগজপত্র দেখতে চান। এছাড়া দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এসময় দোকানের বাইরে থাকা দোকান মালিক শাহ আলমকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান সাইফুল ইসলাম। পরে দোকান মালিক শাহ আলম এসে পুলিশ পরিচয়দানকাী রকিবুল হাসান শান্তর কাছে চাকরির কর্মস্থল জানতে চান। এ সময় রকিবুল হাসান শান্ত তাকে জানান তিনি কুষ্টিয়া মডেল থানায় কর্মরত। কিন্তু তার কাছে পুলিশ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের এক পর্যায়ে রকিবুল হাসান শান্ত অবস্থা বেগতিক দেখে দোকান কর্মচারীর পা জড়িয়ে ধরে নিজের অপরাধ স্বীকার করে মাফ চান। এ সময় সেখানে আরও লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তাদের সামনেই রকিবুল হাসান শান্ত স্বীকার করেন যে, তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। শহরের পালবাড়ি গাজীরঘাট রোড এলাকার শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে তিনি। তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং অবসরপ্রাপ্ত বিশেষ বাহিনীর সদস্য।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে সিটি প্লাজায় গিয়ে তারা রকিবুল হাসান শান্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের একটি ভুয়া আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। আইডি কার্ডে তাকে দেখা যায় পুলিশের পোশাকে নায়েক ব্যাচের র্যাঙ্ক লাগানো রয়েছে। পরে জিজ্ঞাসবাদের এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন যে, পালবাড়ি এলাকার ‘এবি মাল্টিমিডিয়া’ নামে একটি দোকানের কর্মচারী মামুন হোসেন জনি তাকে পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে দিয়েছেন। ৩ দিন আগে ১২০ টাকা দিয়ে তিনি তার কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে এনেছেন।
পুলিশ জানায়, পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পরে মামুন হোসেন জনিকে আটক করা হয়। এ সময় মামুন হোসেন জনি নিজের দোষও স্বীকার করেছেন। সূত্র জানায়, ওই দোকান থেকে কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া দোকান থেকে একাধিক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের ডুপ্লিকেট উদ্ধার করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে কোতয়ালী থানা পুলিশের ওসির দায়িত্বে থাকা ইনসপেক্টর (তদন্ত) সমীর কুমার সরকার জানান, পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। সূত্র: কালের কন্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।