বিনোদন ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে পুরান ঢাকার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, তিন মেয়ে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বরেণ্য এ অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি সময় নিউজকে নিজেই জানিয়েছেন তার ছোট মেয়ে কোয়েল আহমেদ। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ০৬ মিনিটে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কোয়েল আহমেদ বলেন, ‘আব্বা আর নেই। আব্বা আর নেই। শুক্রবার বিকেলে আব্বাকে বাসায় নিয়ে আসছিলাম। উনি হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। তাই বাসায় নিয়ে আসছিলাম। আমি রাত ২টা ৩০ মিনিটে আব্বার বাসায় আসছি।’
একটি সিনেমা পরিচালনার ইচ্ছা ছিল এটিএম শামসুজ্জামানের। মৃত্যু আগে সে ইচ্ছার কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, ‘অনেক সিনেমার গল্প লিখেছি। নাটক-সিনেমায় অনেক অভিনয় করেছি। দর্শক আমাকে অভিনেতা হিসেবেই ভালোবাসেন। এবার আমি এমন একটি সিনেমা বানাতে চাই, যা দর্শককে উদ্দীপ্ত করবে।’
জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ইচ্ছা ছিল এ অভিনেতার। সে সিনেমায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার শেষ ইচ্ছা পূরণ হলো না। তার আগেই পরপারে চলে গেছেন কিংবদন্তি এ অভিনেতা।
এটিএম শামসুজ্জামানের শেষ ইচ্ছার বিষয়ে জানতে চাইলে তার ভাই হাজী সোলায়মান জামান রতন সময় নিউজকে বলেন, ‘আমার ভাই শুধু অভিনেতা ছিলেন না। তিনি লেখকও ছিলেন। সিনেমা বানানোর ইচ্ছা ছিল তার কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পর তা থেকে একটু দূরেই ছিলেন।
এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন একাধারে একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ লেখক ও গল্পকার। ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে আগমন হয় এই অভিনেতার। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি।
অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন গুণী এ অভিনেতা। শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছেন ২০১৫ সালে। সদ্যপ্রয়াত এ অভিনেতা তার কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন ভক্তদের হৃদয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।