জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজার শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়ার ছরা এলাকায় জমির বিরোধে এই দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ায় আজ বুধবার সকালে কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগের নেতা রিদুয়ান আলী সাজিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি কক্সবাজার শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের উত্তর নুনিয়ারছরা শিল্প এলাকা ঠোঁটিয়া পাড়ায় জমির বিরোধে দুইটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। ওই ঘটনায় তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে গিয়ে এক পক্ষে অবস্থান নেয় রিদুয়ান আলী সাজিন।
সাজিন নিজ হাতে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর গুলি বর্ষণ করে। সাজিন ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, নিকট অতীতে কক্সবাজার শহরে দিনে-দুপুরে এভাবে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার শহরের মেয়র মুজিবুর রহমানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ থামে।
অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি বর্ষণের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পরই সাজিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান ইকবাল রিপন ও সাধারণ সম্পাদক শাকিল আজমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রিদুয়ান আলী সাজিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে সংগঠন থেকে তাকে ‘সাময়িক বহিষ্কার’ করা হলো।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান বলেন, ‘যারা প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে দলীয় নেতাকর্মী আরও যারা অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে তাদের ব্যপারে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।