তিনি বলেন, সহায়তার প্রশ্নে নানা দাবি উঠছে। ত্রাণের চাহিদা নিয়ে সরকার অবগত। কিন্তু মনে রাখতে হবে ১৭ কোটি মানুষের প্রতি ঘরে গিয়ে ত্রাণ দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব না।
তিনি বলেন, সরকার আগাম ব্যবস্থা নিতে পেরেছে বলেই করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। উন্নত বিশ্ব যখন করোনা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ এক প্রকার সঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে করোনার ভয়াবহতা মোকাবিলা করছে। এটিকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সব খবর রাখছেন এবং এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ রয়েছেন। তিনি নিয়মিত কনফারেন্স করে প্রতি সেক্টরের দায়িত্বশীলদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে তাগিদ দিচ্ছেন। যার জন্য যা দরকার সে অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। সরকার প্রধানের এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
ত্রাণের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, করোনার এ মহামারি মোকাবিলায় সরকার যথেষ্ট ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকল্পে কঠোর অবস্থান নিতে বলেছেন। যারা ত্রাণ বিতরণে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মানুষ ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, সস্তা অনেক কিছুই নিয়েই দাবি ওঠে। বিক্ষোভ হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করা সরকারের পক্ষে সম্ভব না।
কলকারখানায় লকডাউন শিথিল করার ব্যাপারে এ রাজনীতিক বলেন, মানুষের বেঁচে থাকা আগে। সরকার জীবন বাঁচাতেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাস্তবতা স্বীকার করতে হবে৷ তবে সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে অবশ্যই মানুষকে কাজে ফেরানো হবে। সূত্র : জাগো নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।