লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রতিদিন গোসল করা ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার’ অংশ। এটি মনের প্রশান্তি বা পরিচ্ছন্নতার জন্য করা হয়ে থাকে। তবে করোনা মহামারি এবং বাড়িতে থেকে কাজকর্ম করার কারণে প্রতিদিন গোসল করার প্রয়োজনীয়তা আসলেই আছে কি না তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, বাসা থেকে বের না হলে তারা গোসল করেন না। অনেকেই আবার কম গোসল করার উপকারিতা তুলে ধরছেন।
তবে নিয়মিত গোসল না করা কি আসলেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে? চলুন দেখে নিই বিশেষজ্ঞরা কী বলেন।
ভারতের শ্রী বালাজি অ্যাকশন মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র পরামর্শক ডা. যশোধার শর্মা বলেন, কম শাওয়ার নেওয়া ব্যক্তিগত পছন্দ হতে পারে, তবে এটাকে আমি সুপারিশ করতে পারব না। আসলে প্রতিদিন গোসলের উপকারিতা ফলাও করে বলা লাগে না। এটা প্রতিদিনের প্রয়োজনগুলোরই একটি অংশ। প্রতিদিন গোসল দেহের ময়লা এবং মৃত ত্বক অপসারণ ছাড়াও, এটি ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে, রক্ত সঞ্চালনে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং পেশির টান দূর করতে কাজ করে। মোট কথা, প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করলে সম্মিলিতভাবে অনেকগুলো রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
হোম অফিসের সময়, যেহেতু কেউ বাড়ির বাইরে যাচ্ছে না, তাই প্রতিদিন গোসল করা অর্থহীন মনে হতে পারে। তবে এটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে বাড়িতেও ত্বক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে মুক্ত নয়। ভালো ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অণুজীবের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিদিনের শাওয়ারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই শয্যাশায়ী রোগীদের এবং নির্দিষ্ট রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতিদিন স্নান করার পরামর্শ দেওয়া হয় না। তবে তাদেরও নিজের চারপাশকে অন্য উপায়ে পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় বলে জানান ডা. শর্মা।
তবে যাদের ত্বক শুষ্ক বা সংবেদনশীল, তাদের প্রতিদিন গোসল করা ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে গোসলের পর চাহিদামতো ময়শ্চারাইজার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাই একবারে গোসল করা বাদ দেওয়ার আগে তাদের উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। শীতকালে অলসতার জন্য স্নান না করার ইচ্ছা হতে পারে। তবে মনে রাখা উচিত, গোসল ব্যাকটেরিয়া এবং দুর্গন্ধকে দূরে রাখতে সহায়তা করে বলেও জানান ডা. শর্মা।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।