জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল আসামি ইয়াসিন মোল্লা (২২) ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য।
রোববার দিবাগত রাত ২টার সময় শহরের রথখোলা লঞ্চঘাট জোড়া ব্রিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ইয়াসিন মোল্লা শহরের ওয়ারলেস পাড়ার মনি মোল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে তিন মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই বেলাল হোসাইন জানান, রাজেন্দ্র কলেজ মেলার মাঠের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ছবি সংগ্রহ করে ইয়াসিনকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর স্থানীয়দের সহয়তায় তাকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করে নিয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় আসামি, তার সহযোগী ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়। এতে নিহত হন ইয়াছিন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য।
পুলিশ জানান, পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৪ বছরের প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমাকে রাজেন্দ্র কলেজের মেলার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে যায় ইয়াসিন নামের ওই ধর্ষক। পরের দিন টেলিগ্রাম অফিসের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর ফাতেমা হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে নানা কর্মসূচি পালিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।