জুমবাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলখানার পরিবর্তে বাসায় আছেন। তারপরেও বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, ‘তিনি কথায় কথায় গণতন্ত্রের ছবক দেন। আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ অজস্র হত্যাকান্ডের দায় আপনাদের ঘাড়ে আছে। আহসানউল্লাহ মাস্টারের রক্তে আপনার নেত্রী খালেদা জিয়া ও আপনার নেতা তারেক রহমানের হাত রঞ্জিত আছে। এখান থেকে কোনো দিন মুক্তি পাওয়ার সুযোগ নেই। এসব হত্যাকান্ডের বিচার এ বাংলার মাটিতে হয়েছে এবং আরও হবে এবং ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকান্ডের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।
মাহবুব উল আলম হানিফ আজ গাজীপুরের হায়দরাবাদে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের হত্যার রায় বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে অচিরেই জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে । তিনি বলেন, দেশের সকল মেহনতী শ্রমজীবী মানুষের প্রাণের দাবি শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপি’র হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় অবিলম্বে কার্যকর করা।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিবাজ ও খুনি তারেক জিয়ার নির্দেশে সুপরিকল্পিতভাবে আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপিকে হত্যা করা হয়েছিল। গাজীপুরবাসী ও বাংলার মানুষ এই হত্যাকান্ড মেনে নিতে পারেনি। গাজীপুরবাসী সেদিন গাজীপুরকে অচল করে দিয়েছিল। আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্বপ্ন শ্রমিক সমাজের অধিকার আজ বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জানান তিনি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, ইকবাল হোসেন সবুজ, অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি, সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঞা, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, জেলা পরিষদের প্রশাসক আখতারউজ্জামান প্রমুখ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।