Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home খাবারে প্রোটিনের উপকারিতা জানুন ও সুস্থ থাকুন: আপনার শরীরের অদৃশ্য কারিগর
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য

    খাবারে প্রোটিনের উপকারিতা জানুন ও সুস্থ থাকুন: আপনার শরীরের অদৃশ্য কারিগর

    লাইফস্টাইল ডেস্কTarek HasanJuly 14, 202512 Mins Read
    Advertisement

    গত মাসেই ঢাকার মিরপুরে বাস করেন রুমানা আক্তার। কর্মব্যস্ত জীবন, অফিসের চাপ, সংসারের ঝক্কি – সব মিলিয়ে নিজের খাওয়া-দাওয়ার দিকে ঠিকমতো খেয়াল রাখতে পারতেন না তিনি। সারাদিন শুধু ভাত, আলুভাজি আর চায়ের উপরেই চলে যেত। ক্লান্তি, চুল পড়া, ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে ভুগতে শুরু করলেন। ডাক্তারের পরামর্শে রক্তপরীক্ষা করালে ধরা পড়ল – প্রোটিনের মারাত্মক ঘাটতি। কিন্তু কেন? রুমানার মতো অসংখ্য মানুষই হয়তো জানেন না যে, প্রতিটি কোষের গঠন থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, এমনকি আমাদের ভালো থাকার অনুভূতির সঙ্গেও নিবিড়ভাবে জড়িত এই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। শুধু মাংস-ডিম নয়, দেশীয় ও সহজলভ্য খাবারেও যে লুকিয়ে আছে এই জীবনরক্ষাকারী উপাদান, তা জানাটা কতটা জরুরি!

    প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

    প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: আপনার শরীরের অদৃশ্য ইট-পাথর

    প্রোটিনকে প্রায়ই শরীরের ‘বিল্ডিং ব্লক’ বলা হয়। কিন্তু এটা শুধু পেশি গঠনের কথা বলে না। ভাবুন তো, আপনার শরীর এক বিশাল, সচল, জটিল কারখানা। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সেই কারখানার অদৃশ্য কারিগর, নির্মাণ শ্রমিক এবং রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী সবই। এটি অ্যামিনো অ্যাসিড নামক ছোট ছোট যৌগ দিয়ে তৈরি। আমাদের শরীরে ২০ রকমের অ্যামিনো অ্যাসিড প্রোটিন গঠনে অংশ নেয়, যার মধ্যে ৯টি অত্যাবশ্যকীয় – মানে শরীর এগুলো নিজে তৈরি করতে পারে না। খাবার থেকেই এগুলো পেতে হয়। (সূত্র: National Institutes of Health (NIH) – Office of Dietary Supplements: প্রোটিন – ওডিএস)।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সর্বশেষ নির্দেশিকা (২০২৩) অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির দৈনিক ক্যালোরির ১০-৩৫% প্রোটিন থেকে আসা উচিত। তবে বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা, গর্ভাবস্থা, স্তন্যদান বা নির্দিষ্ট রোগের উপস্থিতি ভেদে এই চাহিদা পরিবর্তিত হয়। (সূত্র: WHO – ডায়েটারি গাইডলাইনস)।

    প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কেন এত জরুরি? গোটা শরীর জুড়ে এর অবদান

    প্রোটিনের কাজ শুধু পেশি মজবুত করাই নয়। এর ভূমিকা অত্যন্ত বিস্তৃত ও গভীর:

    1. কোষের মৌলিক গঠন ও মেরামত: প্রতিটি জীবন্ত কোষের গাঠনিক উপাদান প্রোটিন। চামড়া, চুল, নখ, রক্তের কোষ, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের টিস্যু – সবই প্রোটিন দিয়ে তৈরি। ক্ষতিগ্রস্ত কোষ বা টিস্যুর মেরামতের মূল হাতিয়ারও প্রোটিন। সার্জারির পর দ্রুত সেরে উঠতে বা কোনো আঘাত থেকে সুস্থ হতে প্রোটিনের ভূমিকা অপরিসীম।
    2. এনজাইম ও হরমোন তৈরির কারখানা: আমাদের শরীরে হাজার হাজার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে প্রতিনিয়ত। এই বিক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষ প্রোটিন যৌগ, যাদের বলা হয় এনজাইম। হজম থেকে শুরু করে শক্তি উৎপাদন, ডিএনএ সংশ্লেষণ – সবকিছুতেই এনজাইমের ভূমিকা। একইভাবে, ইনসুলিন, গ্রোথ হরমোন, থাইরয়েড হরমোনের মতো গুরুত্বপূর্ণ হরমোনও প্রোটিন দিয়ে তৈরি। এগুলো ছাড়া শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া অচল।
    3. রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার শক্তিশালী সৈনিক: অ্যান্টিবডি নামে বিশেষ এক ধরনের প্রোটিন আমাদের শরীরকে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এগুলোই রোগজীবাণু শনাক্ত করে ধ্বংস করে, আমাদের সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার না পেলে এই অ্যান্টিবডি উৎপাদন ব্যাহত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। (সূত্র: Harvard T.H. Chan School of Public Health – The Nutrition Source – Protein)।
    4. পেশি গঠন, সংরক্ষণ ও শক্তি: পেশির ভর বজায় রাখা এবং বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। শুধু বডিবিল্ডারদের জন্য নয়, সবার জন্যই পেশির স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবেই পেশিক্ষয় (Sarcopenia) শুরু হয়। পর্যাপ্ত প্রোটিন ও শারীরিক ব্যায়াম এই ক্ষয় রোধে সাহায্য করে। তাছাড়া, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের উৎস শেষ হয়ে গেলে প্রোটিন শক্তির উৎস হিসেবেও কাজ করে, যদিও এটি আদর্শ বা কাঙ্খিত নয়।
    5. রক্তের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান: হিমোগ্লোবিন, লোহিত রক্তকণিকায় অবস্থিত একটি প্রোটিন, যা ফুসফুস থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পরিবহন করে। প্রোটিনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
    6. তৃপ্তি অনুভূতি ও ওজন ব্যবস্থাপনা: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে কার্বোহাইড্রেট বা ফ্যাটের তুলনায় বেশি সময় ধরে পেট ভরা থাকে। এটি ক্ষুধার হরমোন গ্রেলিন কমায় এবং তৃপ্তির হরমোন লেপটিন ও পেপটাইড ওয়াইওয়াই (PYY) বাড়ায়। ফলে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স বা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহজ হয়। (সূত্র: National Library of Medicine – Dietary protein and satiety)।
    7. হাড়ের স্বাস্থ্য: প্রোটিন ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিনের অভাব হাড় দুর্বল করে ফেলতে পারে।

    বাংলাদেশি খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: সহজলভ্য ও পুষ্টিকর উৎস

    প্রচলিত ধারণা যে প্রোটিন মানেই শুধু মাংস-ডিম-দুধ। কিন্তু সত্যি বলতে, আমাদের দেশে প্রচুর সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রয়েছে, যেগুলো নিরামিষাশী বা সীমিত আয়ের মানুষেরাও নিয়মিত গ্রহণ করতে পারেন। আসুন জেনে নিই কিছু উল্লেখযোগ্য উৎস:

    • ডাল ও শিম জাতীয় শস্য (Legumes & Pulses): মসুর ডাল, মুগ ডাল, ছোলা, মটরশুঁটি, সোয়াবিন, রাজমা, বিভিন্ন ধরনের শিম (বরবটি, দেশি শিম, শিমের বিচি) – এগুলো প্রোটিনের পাওয়ার হাউস। এগুলোতে ফাইবারও প্রচুর, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক কাপ (প্রায় ১৬০ গ্রাম) রান্না করা মসুর ডালে প্রায় ১৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। সোয়াবিন বা সয়বিন প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎসগুলোর একটি।
    • মাছ: আমাদের দেশে নদী-নালা, খাল-বিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। ইলিশ, রুই, কাতলা, পাঙ্গাশ, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পুঁটি, চিংড়ি – সবই চমৎকার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। মাছে উচ্চমানের প্রোটিন ছাড়াও আছে স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছও (যদিও দামি) প্রোটিন ও আয়োডিনের ভালো উৎস। ছোট মাছ (মলা, ঢেলা, পুঁটি) ক্যালসিয়ামেরও চমৎকার উৎস।
    • ডিম: সাশ্রয়ী মূল্যের ‘সুপারফুড’। একটি মাঝারি আকারের ডিমে প্রায় ৬-৭ গ্রাম উচ্চজৈবমূল্যের প্রোটিন থাকে, যাতে প্রয়োজনীয় সব অ্যামিনো অ্যাসিডই থাকে। কুসুমে ভিটামিন ডি, কলিন (মস্তিষ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ) এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে।
    • দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য: দুধ, দই, ছানা, পনির প্রোটিনের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি (ফর্টিফাইড হলে) এবং ভিটামিন বি১২ এর ভালো উৎস। এক কাপ (২৪০ মিলি) দুধে প্রায় ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। দইয়ে প্রোবায়োটিক্সও থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
    • মুরগির মাংস: চর্বি ছাড়া মুরগির বুকের মাংস (চিকেন ব্রেস্ট) লিন প্রোটিনের (চর্বিহীন প্রোটিন) চমৎকার উৎস। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে।
    • গরু/খাসির মাংস: এটিও প্রোটিনের ভালো উৎস, তবে লাল মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। তাই পরিমিত পরিমাণে (সপ্তাহে ১-২ বার) চর্বি ছাড়া অংশ বেছে খাওয়া ভালো।
    • বাদাম ও বীজ: চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তাবাদাম, তিল, ফ্লাক্সসিড, চিয়া সিড, কুমড়ার বিচি – এগুলো প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং ভিটামিন-মিনারেলের দারুণ উৎস। এক মুঠো (প্রায় ২৮ গ্রাম) চিনাবাদামে প্রায় ৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এগুলো স্ন্যাক্স হিসেবে বা সালাদ, দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
    • শাকসবজি: কিছু শাকসবজিতেও প্রোটিনের পরিমাণ কম নয়, যদিও এগুলো প্রাণীজ উৎস বা ডালের মতো উচ্চমাত্রার নয়। পালং শাক, মটরশুঁটি, ব্রোকলি, আলু, মিষ্টি আলু, শিমের বিচি, ঢেঁড়স ইত্যাদিতে কিছু পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। এগুলো অন্যান্য পুষ্টি উপাদানেরও ভালো উৎস।

    বিভিন্ন বয়স ও অবস্থায় দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা (আনুমানিক):

    বয়স/অবস্থাদৈনিক প্রোটিনের প্রয়োজন (গ্রাম/কেজি শরীরের ওজন অনুযায়ী)দৈনিক প্রোটিনের আনুমানিক পরিমাণ (গ্রাম) (৬০ কেজি ওজনের প্রাপ্তবয়স্কের জন্য)গুরুত্বপূর্ণ টিপস
    শিশু (১-৩ বছর)১.০৫ গ্রাম/কেজি~১৩ গ্রামদ্রুত বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
    শিশু (৪-৮ বছর)০.৯৫ গ্রাম/কেজি~১৯ গ্রামক্রমাগত বৃদ্ধি ও পেশি গঠনের জন্য প্রয়োজন।
    কিশোর-কিশোরী (৯-১৩ বছর)০.৯৫ গ্রাম/কেজি~৩৪ গ্রাম (ছেলে), ~৩১ গ্রাম (মেয়ে)বয়ঃসন্ধিকালীন দ্রুত বৃদ্ধি ও হরমোনাল পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন।
    কিশোর (১৪-১৮ বছর)০.৮৫ গ্রাম/কেজি~৫২ গ্রাম (ছেলে), ~৪৬ গ্রাম (মেয়ে)পেশি ভর ও শক্তি বৃদ্ধির চূড়ান্ত পর্যায়।
    প্রাপ্তবয়স্ক (১৯-৫০ বছর)০.৮ গ্রাম/কেজি~৪৮ গ্রামদৈনন্দিন কার্যক্রম, টিস্যু মেরামত ও সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য।
    বয়স্ক (৫১+ বছর)১.০ – ১.২ গ্রাম/কেজি~৬০ – ৭২ গ্রামবয়সজনিত পেশিক্ষয় (Sarcopenia) রোধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বেশি প্রয়োজন।
    গর্ভবতী নারী+ অতিরিক্ত ২৫ গ্রাম/দিন~৭১ গ্রাম (গড়ে)ভ্রূণের বৃদ্ধি, প্লাসেন্টা ও মায়ের টিস্যু বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত প্রয়োজন।
    স্তন্যদানকারী মা (০-৬ মাস)+ অতিরিক্ত ১৯ গ্রাম/দিন~৬৭ গ্রাম (গড়ে)দুধ উৎপাদনের জন্য অতিরিক্ত প্রোটিন প্রয়োজন।
    স্তন্যদানকারী মা (৭-১২ মাস)+ অতিরিক্ত ১৩ গ্রাম/দিন~৬১ গ্রাম (গড়ে)ক্রমাগত দুধ উৎপাদন বজায় রাখার জন্য।
    ক্রীড়াবিদ/নিয়মিত ভারোত্তোলনকারী১.২ – ২.০ গ্রাম/কেজি~৭২ – ১২০ গ্রামপেশি গঠন, মেরামত এবং ব্যায়াম পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য বেশি প্রয়োজন।

    (সূত্র: Dietary Reference Intakes (DRIs) – Food and Nutrition Board, Institute of Medicine, National Academies – DRI টেবিল; গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানের তথ্য: WHO/FAO/UNU বিশেষ পরামর্শ)

    প্রোটিন ঘাটতির লক্ষণ: আপনার শরীর যখন সিগনাল দেয়

    রুমানা আক্তারের মতো অনেকের ক্ষেত্রেই প্রোটিনের অভাব ধরা পড়ে যখন অবস্থা বেশ খারাপের দিকে চলে যায়। আগে থেকে সচেতন হলে এই ঘাটতি চিহ্নিত করা যায়। লক্ষণগুলো হতে পারে:

    • অস্বাভাবিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি: সামান্য কাজেই হাঁপিয়ে ওঠা, সারাদিন ঝিমুনি ভাব।
    • পেশি ক্ষয় ও দুর্বলতা: হাত-পা শুকিয়ে যাওয়া, ভারী জিনিস তোলার ক্ষমতা কমে যাওয়া।
    • ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া: সর্দি-কাশি, জ্বর, সংক্রমণ বার বার হওয়া (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া)।
    • চুল পড়া, নখ ভঙ্গুর হওয়া: চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়া, নখ সহজেই ভেঙে যাওয়া বা ফাটা।
    • ত্বকের সমস্যা: ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে যাওয়া, ফ্যাকাশে ভাব, ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া।
    • ক্ষুধামন্দা ও মেজাজের পরিবর্তন: খেতে ইচ্ছা না করা, খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণে সমস্যা, খিটখিটে মেজাজ, মনমরা ভাব।
    • পায়ে বা পেটে পানি আসা (Edema): বিশেষ করে গোড়ালি ও পায়ে ফোলাভাব দেখা দেওয়া (রক্তে অ্যালবুমিন নামক প্রোটিন কমে গেলে)।
    • শিশুদের ক্ষেত্রে: বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া (স্টান্টিং), ওজন না বাড়া, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিলম্ব।

    যদি এই লক্ষণগুলোর কয়েকটি একসাথে দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রয়োজনে রক্তপরীক্ষা করানো জরুরি।

    কতটা প্রোটিন প্রয়োজন? পরিমাপের সহজ কৌশল

    দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটি সহজ হিসাব হল শরীরের ওজন (কেজি) x ০.৮ থেকে ১ গ্রাম। অর্থাৎ, কারো ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তাহলে তার দৈনিক প্রায় ৪৮ থেকে ৬০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন।

    খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বোঝার জন্য:

    • প্রাণীজ উৎস: ১০০ গ্রাম মাছ/মুরগি/গরুর মাংসে প্রায় ২০-২৫ গ্রাম প্রোটিন। ১টি ডিমে ~৬ গ্রাম। ১ কাপ দুধে ~৮ গ্রাম। ১ কাপ দইয়ে ~১০ গ্রাম।
    • উদ্ভিজ্জ উৎস: ১ কাপ রান্না করা ডালে ~১৮ গ্রাম। ১০০ গ্রাম টোফুতে ~৮-১০ গ্রাম। ১ কাপ রান্না করা ছোলায় ~১৫ গ্রাম। ১ মুঠো (৩০ গ্রাম) চিনাবাদামে ~৭ গ্রাম।

    মনে রাখুন, একবারে প্রচুর প্রোটিন খাওয়ার চেয়ে সারাদিনের খাবারে সমানভাবে প্রোটিন ছড়িয়ে দেওয়া ভালো। প্রতিটি প্রধান খাবার (সকাল, দুপুর, রাত) এবং স্ন্যাক্সে কিছু না কিছু প্রোটিন রাখার চেষ্টা করুন।

    প্রোটিন সম্পর্কিত কিছু ভুল ধারণা ও সত্য

    • ভুল ধারণা: বেশি প্রোটিন খেলে কিডনির ক্ষতি হয়।
      সত্য: সুস্থ কিডনি বিশাল পরিমাণ প্রোটিনও সহজে প্রক্রিয়া করতে পারে। তবে যাদের ইতিমধ্যে কিডনি রোগ আছে, তাদের জন্য প্রোটিন সীমিত করতে বলা হতে পারে। (সূত্র: National Kidney Foundation – প্রোটিন ও সিকেডি)।
    • ভুল ধারণা: নিরামিষাশীরা পর্যাপ্ত প্রোটিন পায় না।
      সত্য: ডাল, বাদাম, বীজ, সয়াবিন, দুগ্ধজাত দ্রব্য ইত্যাদির সঠিক সমন্বয়ে নিরামিষাশীরাও পর্যাপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ প্রোটিন পেতে পারে। বিভিন্ন উৎসের প্রোটিন মিলিয়ে খেলে (যেমন: ভাতের সাথে ডাল, রুটির সাথে ছোলার তরকারি) প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়।
    • ভুল ধারণা: প্রোটিন শুধু মাংস থেকেই আসে।
      সত্য: আগেই দেখেছি, ডাল, ডিম, দুধ, বাদাম, এমনকি কিছু শাকসবজি থেকেও ভালো পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ।
    • ভুল ধারণা: ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন এড়িয়ে চলতে হয়।
      সত্য: বরং প্রোটিন তৃপ্তি বাড়ায়, ক্ষুধা কমায় এবং বিপাক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে – যা ওজন কমানোর জন্য সহায়ক। তবে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারেও ক্যালোরি থাকে, তাই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

    বাংলাদেশি খাবারে প্রোটিন যোগ করার সহজ টিপস

    • সকালের নাস্তায়: ডিম (সিদ্ধ/ভাজি/ওমলেট), ছানা/পনির সাথে রুটি/পাউরুটি, ডালের বড়া, দুধ/দই, একমুঠো বাদাম।
    • দুপুর/রাতের খাবারে: মাছ/মাংস/ডালের তরকারির পাশাপাশি অবশ্যই ডাল রাখুন। শাকসবজির তরকারিতে ছোট মাছ বা শিমের বিচি যোগ করুন। সালাদে ছোলা বা কাটা বাদাম ছড়িয়ে দিন।
    • স্ন্যাক্স হিসেবে: সেদ্ধ ছোলা (ঝাল মসলা সহ), স্প্রাউটেড মুগ ডালের সালাদ, বাদাম (চিনাবাদাম, কাঠবাদাম), দই, দুধ, স্যান্ডউইচে ডিম বা ছানা।
    • বাচ্চাদের জন্য: ডিমের ভাজি, ছানা/পনির নানা পদ, দুধের তৈরি মিষ্টি (পায়েস, সেমাই), মাছের কাটলেট, ডাল-সবজির খিচুড়ি।
    • রান্নায় উদ্ভাবন: ডালের স্যুপ, ডাল দিয়ে শাক ভাজা, ভাতের সাথে ডাল বা দই মিশিয়ে খাওয়া, নানান ধরনের বড়া/চপ (মুগ ডাল, সবজি, মাছের)।

    বিশেষ সতর্কতা: কারো কারো জন্য প্রোটিন সীমিত করা জরুরি

    যদিও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সবার জন্যই অপরিহার্য, কিছু স্বাস্থ্য অবস্থায় এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হতে পারে:

    • কিডনি রোগ: বিশেষ করে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের (CKD) উন্নত পর্যায়ে রোগীদের প্রায়ই প্রোটিন গ্রহণ সীমিত করতে বলা হয়, যাতে কিডনির উপর চাপ না পড়ে। অবশ্যই ডাক্তার ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে চলুন।
    • কিছু নির্দিষ্ট লিভারের রোগ: কিছু লিভার রোগেও প্রোটিন নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হতে পারে।
    • কিছু বিরল জিনগত রোগ: ফিনাইলকিটোনিউরিয়া (PKU) এর মতো রোগে নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিড এড়িয়ে চলতে হয়।

    এই ধরনের অবস্থা না থাকলে সাধারণত প্রোটিন গ্রহণ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। তবে কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    সমাজ, সংস্কার ও পারিবারিক চাপে গড়ে ওঠছে সিদ্ধান্তহীন এক প্রজন্ম

    জেনে রাখুন: প্রোটিন নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর

    প্রশ্ন: আমি নিরামিষাশী, কিভাবে নিশ্চিত হব যে আমি পর্যাপ্ত প্রোটিন পাচ্ছি?
    উত্তর: নিরামিষাশীদের জন্য ডাল, ছোলা, রাজমা, সোয়াবিন/টোফু, দুধ, দই, ছানা, পনির, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ (চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, তিল, ফ্লাক্সসিড) এবং পুরো দানাশস্য (যেমন: ওটস, ব্রাউন রাইস) প্রোটিনের প্রধান উৎস। বিভিন্ন উৎসের প্রোটিন একসাথে খান (যেমন: ভাত + ডাল, রুটি + ছোলার তরকারি, ওটস + দুধ + বাদাম) যাতে সব অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড পেয়ে যান। সোয়া প্রোটিন সম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

    প্রশ্ন: প্রোটিন শেক বা সাপ্লিমেন্ট নেওয়া কি দরকার?
    উত্তর: বেশিরভাগ মানুষের জন্য খাবার থেকেই পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। সাপ্লিমেন্ট সাধারণত ক্রীড়াবিদ, যারা খুব বেশি ব্যায়াম করেন, বয়স্ক ব্যক্তি যাদের খাবার থেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন খেতে সমস্যা হয়, বা যারা ওজন কমানোর জন্য কঠোর ডায়েটে আছেন – তাদের জন্য প্রয়োজন হতে পারে। সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে ডাক্তার বা রেজিস্টার্ড ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন। খাবারই সবচেয়ে ভালো উৎস।

    প্রশ্ন: বেশি প্রোটিন খেলে কি ওজন বাড়ে?
    উত্তর: প্রোটিন খেলে ওজন বাড়ে না, বরং সঠিকভাবে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রোটিন তৃপ্তি বাড়ায়, ফলে আপনি কম খান এবং অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স কম খান। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো পুষ্টি উপাদানই অতিরিক্ত খেলে ক্যালোরি হিসেবে জমা হয় এবং ওজন বাড়াতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারেও ক্যালোরি থাকে। পরিমিত পরিমাণে ও সুষম খাদ্যতালিকায় রাখলে সমস্যা নেই।

    প্রশ্ন: প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ ভালো নাকি মাংস ভালো?
    উত্তর: দুটিই ভালো প্রোটিনের উৎস। তবে মাছ (বিশেষত তৈলাক্ত মাছ) স্বাস্থ্যকর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা দেয়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। লাল মাংসে (গরু, খাসি) স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা অতিরিক্ত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই মাছকে অগ্রাধিকার দেওয়া ভালো। মাংস খেতে চাইলে চর্বি ছাড়া অংশ বেছে নিন এবং পরিমিত পরিমাণে খান।

    প্রশ্ন: রান্না করলে কি খাবারের প্রোটিন নষ্ট হয়?
    উত্তর: রান্না করলে প্রোটিনের গঠন পরিবর্তন হয় (ডিন্যাচার হয়), কিন্তু এর পুষ্টিগুণ সাধারণত নষ্ট হয় না, বরং হজমে সহজ হয়। তবে অতিরিক্ত উচ্চ তাপমাত্রায় বা দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে কিছু পুষ্টি উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেদ্ধ, ভাপে সিদ্ধ, গ্রিল বা বেক করা পদ্ধতি প্রোটিন সংরক্ষণের জন্য ভালো। অতিরিক্ত তেলে ভাজা এড়িয়ে চলুন।

    প্রশ্ন: বাচ্চাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য কী করব?
    উত্তর: বাচ্চাদের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। ডিম (নানা রকম ভাবে), দুধ, দই, ছানা/পনির মিষ্টি বা নোনতা পদ, মাছ (কাঁটা ছাড়া), মুরগির মাংস, ডাল-সবজির খিচুড়ি, ছোলার তরকারি, স্প্রাউটস, বাদাম বাটার (বড় বাচ্চাদের জন্য) দিতে পারেন। খাবারে বৈচিত্র্য আনুন যাতে বিরক্ত না হয়। রঙিন ও আকর্ষণীয়ভাবে পরিবেশন করুন।

    সুস্থতার ভিত্তিপ্রস্তর: প্রোটিনের অপরিহার্যতা উপলব্ধি করুন

    প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কখনোই বিলাসিতা নয়, বরং সুস্থ, সক্রিয় ও উৎপাদনশীল জীবনযাপনের জন্য এটি মৌলিক চাহিদা। রুমানা আক্তার যেমন প্রোটিনের ঘাটতি জয় করে আজ অনেক বেশি কর্মক্ষম ও স্বাস্থ্যবান বোধ করছেন, তেমনি প্রতিটি পরিবারে এই সহজ সত্য পৌঁছে দেওয়া জরুরি। এটি শুধু পেশি বা শক্তির কথাই বলে না, এটি আমাদের প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস, প্রতিটি চিন্তা, প্রতিটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তির উৎস। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই ভূমিতে ডাল, মাছ, ডিম, দুধ, বাদামের মতো সহজলভ্য ও পুষ্টিকর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এর অভাব নেই। জেনে-বুঝে, সচেতনভাবে খাবার বেছে নিয়ে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এর স্থান নিশ্চিত করুন। আপনার প্রতিটি কোষের জন্য এটি একান্ত প্রয়োজনীয় জ্বালানি। আজ থেকেই শুরু করুন, আপনার খাবারে প্রোটিনের উপকারিতা জানুন ও সুস্থ থাকুন – কারণ, আপনার শরীরই আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও benefits of protein healthy eating Bangladesh high protein foods nutrition tips protein in Bengali diet protein sources অদৃশ্য আপনার উপকারিতা কারিগর খাবারে জানুন ডালে প্রোটিন ডিমে প্রোটিন থাকুন, দৈনিক প্রোটিন চাহিদা পুষ্টিকর খাবার প্রোটিন ঘাটতি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রোটিনের প্রোটিনের উপকারিতা প্রোটিনের উৎস প্রোটিনের কাজ বাংলাদেশি খাদ্যাভ্যাস মাছে প্রোটিন লাইফস্টাইল শরীরের সুস্থ সুস্থ থাকার উপায় স্বাস্থ্য
    Related Posts
    পুরুষদের ফ্যাশন টিপস

    পুরুষদের ফ্যাশন টিপস: সহজে আত্মবিশ্বাসী স্টাইল গড়ে তোলার গাইড

    July 14, 2025
    সময় বাঁচানোর স্মার্ট কৌশল

    সময় বাঁচানোর স্মার্ট কৌশল: কর্মব্যস্ত জীবনে একটুখানি প্রশান্তি

    July 14, 2025
    শেখার জন্য সেরা অ্যাপ

    শেখার জন্য সেরা অ্যাপ:জীবনে শিখুন সহজে!

    July 14, 2025
    সর্বশেষ খবর
    gazi

    পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুজনের মৃত্যু

    GHD Hair Styling Innovations

    GHD Hair Styling Innovations: A Leader in Professional Beauty Technology

    sripur

    গাজীপুরে আসামি ছাড়াতে ঘুষ দাবি, অভিযুক্ত এসআই

    GNC India Nutritional Solutions

    GNC India Nutritional Solutions: Leading the Health Supplement Industry

    জিএম কাদের

    মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের

    WhatsApp Image 2025-07-14 at 9.51.44 AM

    পরিবেশ রক্ষায় বিএনপির উদ্যোগ: কালীগঞ্জে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ

    পুরুষদের ফ্যাশন টিপস

    পুরুষদের ফ্যাশন টিপস: সহজে আত্মবিশ্বাসী স্টাইল গড়ে তোলার গাইড

    সময় বাঁচানোর স্মার্ট কৌশল

    সময় বাঁচানোর স্মার্ট কৌশল: কর্মব্যস্ত জীবনে একটুখানি প্রশান্তি

    মৌলিক দক্ষতা

    প্রত্যেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর এই ১০ মৌলিক দক্ষতা থাকা জরুরি

    নাসির-তামিমা

    নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতে ন্যায়বিচার চাইলেন নাসির-তামিমা

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.