জুমবাংলা ডেস্ক : দুই বছরেরও বেশি সময় পর সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি গুলশানের বাসায় যান। তার মুক্তির জন্য নানা কর্মসূচি পালন ও আইনি লড়াই চালিয়েও মুক্তি হয়নি। অবশেষে পরিবারের পক্ষ থেকে তার অসুস্থতার কথা বলে মানবিক কারণে মুক্তি চাওয়া হলে সাড়া দেয় সরকার। মুক্তির বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমরা তাকে বাসায় নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা আশা করি বাসায় মানসিকভাবে ভালো থাকবেন। আপাতত বাসায় ব্যক্তিগত চিকিৎসা হবে। পরে কীভাবে কী হবে তা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা আশা করি এখানে তিনি ভালো থাকবেন।’
গুলশানের বাসায় খালেদা জিয়া তার ভাই শামীম ইস্কান্দারের তত্ত্ববধানে থাকবেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।
এর আগে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ছুটে যান ফখরুল। সেখানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খালেদা জিয়াকে বাসায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। বারণ সত্ত্বেও শত শত নেতাকর্মী হাসপাতালে ভিড় জমালে ফখরুল এক পর্যায়ে মাইক হাতে নিয়ে সবাইকে চলে যেতে বলেন। এ সময় তাকে কিছুটা রাগ করতেও দেখা যায়। ফখরুলের আহ্বানে নেতাকর্মীরা কিছুটা দূরে সরলেও বর্তমান করোনার প্রেক্ষাপটে সেখানকার পরিস্থিতি ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।