জুমবাংলা ডেস্ক: বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আপনারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেন, তাদের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। আবার বড় বড় কথা বলেন, লজ্জা করে না? আপনাদের লজ্জা থাকা উচিত। ’
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজপথের ভয় দেখাচ্ছেন? ডিসেম্বর মাসে ১০ লাখ নিয়ে বসবেন কোথায়? ঢাকার রাজপথে? ডিসেম্বর বিজয়ের মাস।
ডিসেম্বর আপনাদের নয়, আমাদের মাস। মুক্তিযুদ্ধের মাস। ডিসেম্বরে বিজয়ের পতাকা হাতে লাখ লাখ লোক ঢাকার রাজপথে নামবে। ’
কাদের বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘খেলবেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে? পারবেন না। আমি তো বলেছি, ১০ লাখ নিয়ে বসতে চান সেটা তো পারবেন না। আর আমরা যদি ৩০ লাখ নিয়ে বসি এই নগরীর কী অবস্থা হবে? এমনি তো আপনারা যেখানেই মিটিং করেন সেখানেই যানজট। সেখানে আবার সরকারকে দোষ দেন। যেখানে মিটিং করেন সেখানেই রাস্তা বন্ধ করে মিটিং করেন। ’
বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম দেখে আওয়ামী লীগের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের লোকের ভয় দেখান? গতকাল রাসেলের জন্মদিনে বনানীর দৃশ্য কি দেখেছেন? খালি নিজেদের মিটিং দেখেন। বনানীতে ফুল দিতে ওখানে কত হাজার তরুণ উপস্থিত ছিল। দেখবেন লোক, ২৩ তারিখে নারায়ণগঞ্জে আসেন, সম্মেলন, জনসভা নয়। আসুন বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারের পাশে যেখানে বাণিজ্য মেলা হতো, সেখানে ঢাকা জেলার সম্মেলন। লোক দেখতে চান? সেখানে শেখ হাসিনা আসছেন না। আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা যাবে। লোক কত হয় দেখতে আসেন। ’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, ২০০১ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না ইনশাআল্লাহ। ২০০১ সাল ভুলে যান। এখন ২০২২ সাল। ২০০১ সালে কত যে কুকর্ম করেছেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ক্ষমতায় এসে লুটপাট, রক্তপাত, দুঃশাসন, নারী নির্যাতন, গুম, খুন, কী না করেছেন। সেই দুঃশাসন, সেই লুটপাটের হাওয়া ভবনে বাংলাদেশের মানুষ আর ফিরে যাবে না। সেই সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের দেশে বাংলাদেশের মানুষ আর যাবে না। ’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম), কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমানসহ অন্যরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ত্রাণ ওসমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।