জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের নগরকান্দায় হঠাৎ করে দেবে গেছে ১০ বসত-বাড়ি। ভেঙে পড়েছে পাকা স্থাপনাও। নগরকান্দা উপজেলার কুমার নদের পাড়ের এ ফাটলে ঝুঁকিতে রয়েছে নগরকান্দা সরকারি এম এন একাডেমির ভবন, থানা ভবন ও বাজারের কেন্দ্রীয় কালি মন্দির ভবনসহ পৌর বাজার।
সোমবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হওয়া দেবে যাবার ঘটনা চলে বুধবার পর্যন্ত। আতঙ্কে নদীর পাড়ের বাড়ি থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছে স্থানীয়রা।
তারা জানান, কিছুদিন আগেই সরকারিভাবে কুমার নদ খনন করা হয়েছে। নৌ বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে কাজটি বাস্তবায়ন করেছে বেঙ্গল গ্রুপ। এর ফলেই বাড়ি ঘর দেবে যাওয়ার মতো এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খননের সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কিছু লোক ও স্থানীয়দের ককেজন মিলে অপরিকল্পিতভাবে নদীর এক পাশ খনন করেছে। নদী থেকে উত্তোলিত বালু বিক্রির জন্যই এসব করেছে চক্রটি। যার ফলেই ভেঙে পড়ছে নদী পাড়ের বাড়িগুলো।
নগরকান্দা সরকারি এম এন একাডেমির নবনির্মিত ভবন, থানার নবনির্মিত ভবন, বাজারের কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের ভবন, একাধিক আবাসিক ভবনসহ পৌর বাজারের একাংশ ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া এলাকায় বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে যা প্রায় ৬-৭ ফুট গভীর।
ক্ষতিগ্রস্ত উজ্জল মালো বলেন, কয়েকদিন যাবৎ একটু ফাটল দেখা গিয়াছিল। সোমবার রাতে হুড়মুড় শব্দ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি আমার পাশের ঘর ভেঙ্গে নদীতে পড়ে গেছে। পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসি। এমন সময় আমার একতলা ভবনটিও চোখের সামনে ভেঙ্গে পড়ে যায়।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান জানান, সোমবার সকালে ফাটল দেখা গেছে। এরপর আস্তে আস্তে বড় হয় সেই ফাটল। রাতেই ১টি মন্দির ও ১০টি বাড়ি ভেঙ্গে পড়ে। ঝুঁকির মুখে আছে এই ওয়ার্ডের অন্তত ১০০টি বাড়ি।
নগরকান্দা পৌর মেয়র নিমাই চন্দ্র জানান, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বালু বিক্রি করার জন্যই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। না হলে কুমার নদে কখনো ভাঙ্গন হয়নি। পৌরসভার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবেন জানিয়ে পৌর মেয়র বলেন, যারা এখান থেকে বালু বিক্রি করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতি প্রু বলেন, নদের পাড়ে ফাটল হওয়ায় আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানিয়েছি। জেলা সমন্বয় সভায় এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। নদীর পাড় রক্ষার্থে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।