স্পোর্টস ডেস্ক: আর ঘণ্টা দুই পরেই শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপের ফাইনাল। শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা। দুটি দলই এবারের আসরে ভালো খেলেছে। পাকিস্তান অন্যতম ফেবারিট হলেও শ্রীলঙ্কা হিসাবের বাইরে ছিল।
কিন্তু তরুণ একটা দল নিয়ে সেই শ্রীলঙ্কাই পরবর্তী সময়ে প্রতিপক্ষের জন্য ভীতিকর হয়ে ওঠে। ভয়ডরহীন ক্রিকেটই তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে তারা সেই স্বাধীনতা পেয়ে গেছে।
সুপার ফোর পর্বে শ্রীলঙ্কা কোনো ম্যাচ হারেনি। পাকিস্তান কিন্তু হেরেছিল শ্রীলঙ্কার কাছে। পরিসংখ্যান বলছে, পাকিস্তান ২০১৯ সাল থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয় পায়নি। পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটিতেই হেরেছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ ও সিরিজের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। চলতি এশিয়া কাপে যিনি ব্যাটে-বলে সমান সক্রিয়।
এবারের সুপার ফোর পর্বে পাকিস্তানকে ১২১ রানে অল আউট করেছিল শ্রীলঙ্কা। ওই ম্যাচে লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খানও চলতি আসরে ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করছেন। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখনো পর্যন্ত তিন ম্যাচে তার শিকার মাত্র ২ উইকেট। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন প্রায় ৯ রান। এ ছাড়া শিরোপা জয়ের জন্য পাকিস্তান দলের প্রবল চাপ থাকবে। কিন্তু নবীনদের নিয়ে গঠিত দল শ্রীলঙ্কার হারানোর কিছু নেই। তাই তারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে।
আজকের ফাইনালে দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিতে পারে ওপেনিং জুটি। পাকিস্তানের টপ অর্ডারে অধিনায়ক বাবর আজম ব্যর্থ হচ্ছেন নিয়মিত। ৫ ম্যাচে ১২.৬ গড়ে তার সংগ্রহ মাত্র ৬৩ রান। সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৩০। ফখর জামানও তাই। পাঁচ ম্যাচে ১০৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে মাত্র ৯৬ রান তুলেছেন। একমাত্র রিজওয়ান বড় রান করছেন; কিন্তু স্ট্রাইক রেট মাত্র ১১৮। অন্যদিকে কুশল মেন্ডিস শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসেরই সেরা ওপেনারদের একজন। এবারের এশিয়া কাপে তিনটি ম্যাচেই তিনি দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন। ৫ ম্যাচে ১৬০ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ১৫৫ রান। মোট ৯৮ বল খেলে ১৯টিতেই বাউন্ডারি মেরেছেন।
শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার এখন পাকিস্তানের চেয়ে ভালো। এখনো পর্যন্ত চারটি ম্যাচেই লঙ্কানরা রান তাড়া করে জিতেছে এবং মিডল অর্ডার ব্যাটাররা দ্রুত রান তুলেছেন। বিশেষত ভানুকা রাজাপক্ষে ৫ ম্যাচে ১৪৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। তিনি এই টুর্নামেন্টে ৮৩ বল ব্যাট করে ১৫টিতেই বাউন্ডারি মেরেছেন। অধিনায়ক দাসুন শানাকা ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। চলতি বছর ১৪২ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন ৩৬৩ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও শানাকার। তাই শানাকাকে আটকানো হবে পাকিস্তানের বড় চ্যালেঞ্জ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।