আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত টাইরিস ডেভন হাসপিল এখনও খুনের কথা স্বীকার করেননি বলে জানিয়েছে সিএনএন। তিনি বরং ‘সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের’ অভিযোগ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন।
২১ বছর বয়সী হাসপিলের আইনজীবীরা রবিবার বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘সত্য খুঁজে বের করার একদম প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি আমরা। এই মামলার জীবনকাল দীর্ঘ এবং জটিল হওয়ার বার্তা দিচ্ছে। হাসপিলের আইনজীবী হিসেবে আমরা সবাইকে উদার মানসিকতা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আইনজীবীরা এমন কথা বললেও পুলিশের ধারণা, ফাহিমের এই ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলই তাকে খুন করেছেন। ইতিমধ্যে একটি ভিডিওতে তাকে বৈদ্যুতিক করাতও কিনতে দেখা গেছে, যা দিয়ে খুনের পর তিনি নিজের সাবেক বসের মরদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করেন।
ফাহিমের ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার গলায় এবং ঘাড়ে পাঁচটি কোপ দিয়েছে ঘাতক।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইডে নিজের বিলাসবহুল বাসায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে খুন হন ফাহিম।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া হাসপিলকে ‘সেকেন্ডে ডিগ্রি মার্ডারে’ অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ আগে জানিয়েছিল এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কিন্তু এখন অভিযোগের ধরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে বেশি আগে পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়নি ঘাতক। ‘ইচ্ছাকৃত এবং প্ররোচিত; কিন্তু পরিকল্পিত নয়’- এমন হত্যাকাণ্ডকে সাধারণত সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার বলা হয়।
এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে বোঝা যায় ২১ বছর বয়সী হাসপিল রীতিমতো প্রতারক চরিত্রের ছেলে। তিনি ফাহিমের ৯০ হাজার ডলার চুরি করেছেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানা গেছে। কিন্তু ফাহিম তার কাছে আরও অনেক ডলার পেতেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।