জুমবাংলা ডেস্ক : নজিরবিহীনর বন্যায় ডুবে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। যতদূর চোখ যায় শুধুই বন্যার পানি আর পানি। কোথায়ও উঁচু জায়গা মিলছে না। নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুরের অবস্থা এতোটাই খারাপ, বেশির ভাগ এলাকায় উদ্ধারও চালানো যাচ্ছে না। কারণ আগাম সতর্কতা ছাড়াই হু হু করে ঢুকতে থাকে উজানের পানি।
পরিস্থিতি যেন ঘণ্টায় ঘণ্টায় খারাপের দিকে যাচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। সেই সংকট কমাতে, অন্তত ৫০০ টন ত্রাণ পাঠানোর কথা জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা, শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তিনি জানান, বুধবার তাৎক্ষণিক ১০ টন খেজুর, ১০ টন চিড়া, ৫ টন চিনি, ৫ টন লবণ ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আমাদের তিনটি ট্র্যাক ফেনীর উদ্দেশে চলে গেছে। দ্রুতই সেসব মালামাল পাঁচ হাজার পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে ইন শা আল্লাহ।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, যেহেতু এখন রান্না করার পরিস্থিতি নেই, এজন্য প্রথম ধাপে পাঁচ হাজার পরিবারকে ২ কেজি খেজুর, ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি লবণ ও ১ কেজি চিনি করে দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উদ্ধার তৎরতা, যা প্রশিক্ষিত ও সংশ্লিষ্ট ইকুইপমেন্ট ছাড়া সম্ভব নয়। এ কাজটি বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীসহ অনেকে ইতোমধ্যে করছেন। স্থানীয়ভাবেও যার যার জায়গা থেকে সবাইকে উদ্ধার কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বলা হয়, দ্বিতীয় ধাপে আরও ৩৫ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো ও ভারী ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যার জন্যে ৫০০ টন মালামাল কেনার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যার মধ্যে আছে, ২০০ টন চাল, ২০ হাজার বোতল তেল ৩০ টন খেজুর, ৩০ টন চিড়া, ৪০ টন ডাল, ২৭.৫ টন লবণ, ১৫ টন চিনি, ২০ হাজার পিস পানির বোতল রয়েছে। এছাড়া দেড় লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মোমবাতি ও দিয়াশলাই প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসব মালামাল ঢাকায় প্যাকেজিং হবে শুক্রবার সকাল থেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।