সহজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন কাঁচা আমের আচার, রইল রেসিপি
লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমরা নানান ধরণের আচার খেয়ে থাকি। তারমধ্যে গরমের সময়ে আমের শুরুতে প্রতিটি বাড়িতেই আমের আচার তৈরি করা হয়। মা, ঠাকুমার হাতের তৈরি সেই আচারের স্বাদ যেন অতুলনীয়। দেখলেই যেন জিভে জল নেমে আসে। আমের আচার সাধারণত কাঁচা আম দিয়ে তৈরি করা হয়। এই কাঁচা আমের আচার আমরা খুবই তৃপ্তি করে খাই। আমরা এখন বিভিন্ন কায়দায় ও বিভিন্ন মসলায় আচার তৈরি করে থাকি। কিন্তু ঠাকুমা – দিদাদের হাতের সেই স্বাদ এখন যেন পাওয়া যায় না। তবে আমার এই টক, ঝাল, মিষ্টি আমের আচারের রেসিপি আপনাদের সেই পুরোনো স্বাদ ফিরিয়ে দেবে। খুব সহজে আপনারা নিজেরাই এই আমের আচার রেসিপি তৈরি করে নিতে পারেন। দেখবেন এই আচার চেটে পুটে খেতে ইচ্ছে করবে। তাহলে দেখে নিন অল্প সময়ে তৈরি এই আমের আচার রেসিপিটি।
আমের আচার অত্যন্ত সুস্বাদু, মলশাদার হয়। আর তৈরি করাও খুব সহজ। ভাত, ডাল, রুটির সঙ্গেও দিব্যি খাওয়া যায়। আর অন্যান্য খাবারের স্বাদও বৃদ্ধি করে।
আমের আচার তৈরি করার জন্য প্রথমে কাঁচা আমগুলি একটি পাত্রে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এবার ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে তাতে এক চামচ নুন মিশিয়ে আলাদা করে রাখুন। অন্তত ঘণ্টা তিনেক রেখে দিতে হবে এভাবেই।
নুন মাখিয়ে আমের টুকরো রেখে দেওয়ার পর দেখতে পাবেন তা থেকে জল বেরিয়েছে। এবার সেই জল ছেঁকে ফেলে দিন।
এবার গোটা সরষে, মৌরি, মেথি, জিরে মিক্সিতে ভালো করে বেটে নিন। সমস্ত মশলা ভালো করে বাটা হলে আলাদা করে রাখুন।
এবার একটি কাচের পাত্রে আমের টুকরোগুলি নিন। মুখ বন্ধ কোনও জার হলে সবথেকে ভালো হয়। এবার সেই পাত্রে আমের টুকরোগুলি দিয়ে তার মধ্যে বেটে রাখা মশলা, রসুন বাটা, আদা বাটা, লাল লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদগুঁড়ো, অল্প চিনি, নুন, সরষের তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
কাচের জারের মধ্যে আমসহ সমস্ত উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে মুখ বন্ধ করে দিন। অন্তত টানা ৭ দিন জারটিকে রোদের মধ্যে রাখতে হবে।
৭ দিন রোদে রাখার পর দেখবেন আপনার আমেচ আচার একেবারে তৈরি হয়ে গিয়েছে। মনে রাখবেন প্রতিদিন রোদে দেওয়ার সময় একবার করে নাড়াচাড়া করে দিতে ভুলবেন না।
এবার আচারের বয়ামটিকে অন্ধকার ও ঠাণ্ডা জায়গায় রাখুন। সঠিকভাবে রাখলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে আচার।
ফ্রিজেও সঠিকভাবে আচার রাখতে পারেন। তাতে ১ বছরও আচার ভালো থাকতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।