প্রবাস ডেস্ক: জর্ডানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
দিবসের প্রত্যূষে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও জর্ডান প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট আমাদের জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এমন ঘটনা কেবল দেশের ইতিহাসে নয় বরং পৃথিবীর ইতিহাসে ও বিরল। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সবাইকে হত্যার মাধ্যমে খুনিরা যে নীল নকশা ব্যস্তবায়ন করতে চেয়েছিল, বাংলাদেশের মানুষ কখনই তা হতে দেয়নি। তাই স্বাধীনতার প্রায় অর্ধ শতাব্দী পরও বাংলার ঘরে ঘরে আজ চিরঞ্জীব শেখ মুজিবুর রহমান।
বক্তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সকল পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যহত রাখার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি সপ্নের নাম। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি ছিলেন বাঙ্গালির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। বঙ্গবন্ধু হত্যা’র ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কাল অধ্যায়। ঘাতকেরা ভেবেছিল ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশের গতিপথকে পাল্টে দিতে চেয়েছিল।’
তিনি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পলাতক অপরাধীদের বিদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারকার্য সম্পন্ন ও বাস্তবায়নে কাজ করছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে তাঁরই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ আজ এগিয়ে চলেছে। তাঁরই হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে আজ এক অপার বিস্ময়। মান্যবর রাষ্ট্রদূত নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুকে জানার ও তাঁর বহুমাত্রিক জীবনের নানা দিক সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করার জন্য সুযোগ সৃষ্টির অনুরোধ জানান।
তিনি বঙ্গবন্ধুর নৈতিকতা বোধ, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও মানুষের প্রতি ভালবাসার আদর্শকে নিজেদের মধ্যে সকলকে ধারন করারও আহ্বান জানান।
সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সভার শেষ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ও ঘাতকের হাতে নিহত তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয় এবং সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করে সস্মান প্রদর্শন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দূতাবাস ১৬ আগস্ট ২০২১ একটি ওয়েবিনার আয়োজনেরও পরিকল্পনা করেছে যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে জর্ডানের প্রিন্সেস বাছমা বিন্ত আলী, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম এবং জর্ডানের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব আলা উদ্দিন আরমুতিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।