জুমবাংলা ডেস্ক: বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকেরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাযা শেষে আসরের নামাজের পর বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল ১১টায় আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে তাঁকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় বনানীতে।
পারিবারিকভাবে জানানো হয়, মৃত্যুর দুই দিন আগে আলী যাকেরের করোনা শনাক্ত হয়। এ কারণে শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধার আয়োজন করা হয়নি। আজ আসরের নামাজের পর বনানী কবরস্থানের মসজিদে জানাযা পড়ানো হয়। তারপর বনানী কবরস্থানে আলী যাকেরকে দাফন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি আলী যাকেরকে শেষ শ্রদ্ধার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে নেওয়া হলে করোনা সতর্কতা অবলম্বন করে, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। প্রিয়জন, সহশিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে এ সময় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, মফিদুল হক, নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রমুখ। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরিবারের পক্ষে তাঁর মরদেহের পাশে তাঁর স্ত্রী সারা যাকের, ছেলে নাট্যাভিনেতা ইরেশ যাকের, মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া উপস্থিত ছিলেন। সারাক্ষণ কফিনের পাশে ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এখানে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ছিল আলী যাকেরের মরদেহ। সেখান থেকে নেওয়া হয় বনানী, তাঁর কর্মস্থল এশিয়াটিকে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত, বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকের আজ শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৭৬ বছর। স্ত্রী অভিনয়শিল্পী সারা যাকের, ছেলে অভিনেতা ইরেশ যাকের, ছেলের বউ মিম রশিদ, নাতনি নেহা ও মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়াকে রেখে যান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।