জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছিলেন কলেজছাত্র ইউসুফ আলী। বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে মারা যান সামিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার পদ্মা নদীতে ডুবে দুই কলেজছাত্র মারা গেছে।
ইউসুফ আলী উপজেলার লিলিপনগর গ্রামের বাবুল কবিরাজের ছেলে ও সামিরুল ইসলাম একই গ্রামের কুমির প্রামাণিকের ছেলে। তারা দুইজন একে অপরের বন্ধু। ইউসুফ ফিলিপনগর মরিচা (পিএম) কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ও সামিরুল একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ফিলিপনগর আবেদের ঘাটের বিপরীত পাশে নদীর তীব্র স্রোতে তারা নিখোঁজ হন। পরে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টার পর ডুবুরি দল তাদের লাশ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউসুফ আলী ও সামিরুল ইসলাম সম্রাটসহ তাদের স্থানীয় বন্ধুরা ফিলিপনগর আবেদের ঘাটের নিচে নদীর ওপারে পদ্মার চরে ফুটবল খেলতে যান। খেলার একপর্যায়ে তাদের ফুটবলটি নদীর পানিতে পড়ে যায়। ইউসুফ নদীতে নেমে বলটি তুলতে যায়। এ সময় পানির প্রচণ্ড ঢেউ ও প্রবল স্রোতের কারণে সে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলে সামিরুলসহ ৩-৪ জন ইউসুফকে উদ্ধার করতে যান। মুহূর্তের মধ্যে ইউসুফ ও সামিরুল পানির স্রোতে তলিয়ে যান।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরে নিখোঁজ কলেজছাত্রদের উদ্ধারে খুলনা থেকে ডুবুরি দল আনা হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে পদ্মায় অনুসন্ধান চালিয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।
ইউসুফের চাচা শরীফুল কবীর স্বপন জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতন বইছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।