লাইফস্টাইল ডেস্ক : বয়ঃসন্ধিতে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের যৌন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশে জিএনআরএইচ নামের হরমোনের ক্ষরণ হয়। এটি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। এ সময়ে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে ওজনে পার্থক্য দেখা দেয়। এর মূলেও রয়েছে জিএনআরএইচের বৃদ্ধি। আরও অনেক দৈহিক পরিবর্তন হয় তাদের মধ্যে। প্রথমে বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীর দৈহিক পরিবর্তন দেখে নিতে পারেন:
কিশোরীর
# দেহে নারীসুলভ কমনীয়তা ফুটে ওঠে
# হাত ও পা-সহ নানা স্থানে মেদ জমে
# বুক স্ফীত হয়
# মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়
# কণ্ঠস্বর মিষ্টি হয়ে ওঠে
# প্রায় ২৮ দিন পরপর ঋতুস্রাব হয়ে থাকে
স্ফীতবুক
কিশোরীর প্রথম দৈহিক পরিবর্তন হিসেবে স্তনের অ্যারিওলার নিচে সাধারণত একটা শক্ত ও কোমল পিণ্ড দেখা যায়। গড়ে সাড়ে ১০ বছর বয়সে এ পরিবর্তনটি ঘটে থাকে। এটি থেলারশে নামে পরিচিত। পরের ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে স্তন স্ফীত হতে থাকে
ঋতুস্রাব
প্রথম ঋতুস্রাবকে মেনারশে বলে। সাধারণত থেলারশে শুরু হওয়ার দুই বছর পরে এটা শুরু হয়
দেহের আকার ও মেদ
ঋতুস্রাবের সময় ইস্ট্রোজেন হরমোনের সীমা বৃদ্ধি পায়। ফলে পেলভিসের অর্ধনিন্মাংশ বা হিপ প্রশস্ত হতে শুরু করে। এর ফলে জন্ম নালি আরও বড় হয়। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মেদকলার বৃদ্ধি দেহের বেশি অংশ জুড়ে ঘটে। ১০ বছর বয়সে একটি মেয়ের শরীরে একই বয়সি ছেলের তুলনায় গড় চর্বির পরিমাণ পাঁচ শতাংশ বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধির শেষ পর্যায়ে এ পার্থক্য ৫০ শতাংশের বেশি হয়।
নিউরোহরমোনাল প্রক্রিয়া
বয়ঃসন্ধির পর শরীরে শুরু হওয়া নিউরোহরমোনাল প্রক্রিয়ার পরিবর্তন সাধারণত এক থেকে দুই বছরে হয়ে থাকে। হাইপোথ্যালামাস, পিটুইটারি, গোনাড ও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি নিয়ে অন্তক্ষরা প্রজননতন্ত্র গঠিত। এর সঙ্গে শরীরের আরও অনেক তন্ত্র জড়িত। হরমোনগত বয়ঃসন্ধির কয়েকটি দিক:
# মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশ জিএনআরএইচ হরমোন ক্ষরণ শুরু করে
# পিটুইটারি গ্রন্থির বাইরের অংশ কাজ করা শুরু করে
# এলএইচ ও এফএসএইচ হরমোন ক্ষরণ শুরু হয় এবং তা রক্তের মাধ্যমে হয়
# এলএইচ ও এফএসএইচ হরমোনের প্রভাবে ডিম্বাশয় ও শুক্রাশয় কাজ করা শুরু করে
# এলএইচ ও এফএসএইচ হরমোন এস্ট্রাডিওল ও টেস্টোস্টেরন উৎপন্ন করা শুরু করে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।