নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীসহ বিভিন্ন কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আবেদন করেছেন এ রকম নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে যারা আবেদন করতে পারেননি, তাদেরও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
এরই মধ্য দিয়ে গাজীপুরের মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কর্পেরেশনের মেয়র এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সহ দলীয় শঙখলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর (শনিবার) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে সংশ্লিষ্টদের দলীয় কর্মকান্ড ও পরিচালনায় আর কোন বাধা রইলো না।
বৈঠক সূত্র জানা যায়, সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। ক্ষমা ঘোষণার আগে জাতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীসহ দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত শতাধিক নেতাকর্মীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বহিষ্কৃতদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্তে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরাও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।
এদিকে কৃচ্ছ্রসাধনের জন্য এবারের সম্মেলনের বাজেট ৩০ লাখ টাকা কমিয়ে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা জাতীয় কমিটি নির্ধারণ করেছে বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক। গতবারের কাউন্সিলের বাজেট ছিল ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় কাউন্সিলের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনের প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকবেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও মশিউর রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।