জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির গতিধারা বিশ্বের অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বব্যাংকের দৃঢ় সমর্থনের বিষয়টি পুনরায় ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকায় তিন দিনের সফর শেষে গতকাল মঙ্গলবার তিনি ফিরে গেছেন। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে ভ্যান ট্রটসেনবার্গ উল্লেখ করেন, ‘বিশ্বব্যাংক করোনা মহামারির এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাবসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করছে এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে বাধাগুলো দূর করতে সাহায্য করছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আরো বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান তৈরি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করব।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির গতিপথ অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা। উন্নয়নের অনেক চ্যালেঞ্জ উল্লেখযোগ্য উপায়ে মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। তাছাড়া রেকর্ড দারিদ্র্য হ্রাস করেছে। এছাড়া দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনে অগ্রণী ও উদ্ভাবনী ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বব্যাংক গত পাঁচ দশক ধরে একটি অবিচল অংশীদার এবং বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন অর্জনে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সোমবার ভ্যান ট্রটসেনবার্গ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও দুর্যোগ প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম ২০২০-২২-এ প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। বিশ্বব্যাংকের এমডি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ১৯৭১ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়জনিত মৃত্যু ১০০ গুণেরও বেশি কমিয়ে সাহসী ও উদ্ভাবনী পদ্ধতি গ্রহণ করে দুর্যোগ প্রস্তুতিতে ‘গ্লোবাল লিডার’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ ও পুনর্বাসনে সহায়তা করেছে। ১ হাজার সাইক্লোন শেল্টার, যা স্কুল হিসেবেও কাজ করে এবং ৫৫০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, যা আশপাশের গ্রামের যোগাযোগব্যবস্থায় অবদান রাখছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ। এছাড়া তিনি কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয়দের মৌলিক চাহিদা পূরণে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য ৫৯ কোটি ডলার অনুদানের অর্থায়ন করেছে। এতে আরো জানানো হয়, বিশ্বব্যাংকের এমডি সফরকালে অর্থমন্ত্রী, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার।
আল্লাহ যদি নিজে হাতে গজব না ফেললে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না: খাদ্যমন্ত্রী সাধন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।